জেলেই মৃত্যু হয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারির। দিন কয়েক আগেই তিনি আদালতে তাঁকে এর মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন।
জেল বন্দী গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারির মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। মৃত্যুর পর বিস্ফোরক দাবি ছেলে উমর আনসারির। তিনি দাবি করেছেন, জেলে বাবাকে ‘স্লো পয়জন’-এর মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। আর ছেলের এই দাবি ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
এবার জেলে মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই বিষয়ে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে আজ বান্দায় মুখতার আনসারির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তার ভিসেরা রিপোর্ট সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে মুখতার আনসারির ছেলে উমর আনসারি বান্দা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি লিখে দাবি করেছেন দিল্লির এইমসের চিকিত্সকদের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। তার চিঠিতে, আনসারি লিখেছেন যে তার পরিবার বান্দার চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে না।
হঠাৎ করেই জেলে বুকে ব্যাথা। স্বাস্থ্যের অবনতি হলে গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০০৫ সাল থেকে জেলবন্দী ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের বান্দায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। এরপরই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। মৌ-এর পাঁচবারের বিধায়ক মুখতার আনসারির বিরুদ্ধে ৬০ টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন ছিল।
বাবার মৃত্যুর জেল প্রশাসনের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ আনেন ছেলে ওমর। তিনি বলেন, আমার বাবাকে খাবারে বিষ মেশানো হয়েছে এবং যথযযথ চিকিৎসাটুকু দেওয়া হয়নি। এটা মৃত্যু নয়, এটা হত্যা। আইনি ভাবে যা যা করা সম্ভব তার সবকিছুই আমরা করব।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বান্দা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মুখতার আনসারির। মুখতারের মৃত্যু নিয়ে ছেলের পাশাপাশি বড় দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী আইনজীবী রণধীর সিং, তিনি বলেছেন, জেলে স্লো-পয়জনের কারণেই মুখতার আনসারির মৃত্যু হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, মুখতার আনসারি নিজেই তাঁকে এ কথা বলেছেন।