সমকামী বিবাহের ওপর বুধবার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল টোকিও আদালত। একইসঙ্গে অবশ্য আদালত সমকামী পরিবারগুলোর আইনি সুরক্ষার অভাব বোধ করেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিভিন্ন সমকামী পরিবারের মানবাধিকার ভঙ্গ হচ্ছে। জি-৭ গোষ্ঠীর অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে এই ব্যাপারে জাপানকেও কার্যত সম আসনে বসানোয় খুশি সমকামের অধিকারবাদী সংগঠনগুলো। জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র জাপানই সমকামী বিবাহের অনুমতি দেয়নি। কারণ, এর সংবিধান নারী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ক্ষমতাসীন দল বিষয়টি পর্যালোচনা বা আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে এখনও কোনও পরিকল্পনার কথা জানায়নি। তবে, জাপান সরকারের মন্ত্রিসভার কয়েকজন প্রবীণ সদস্য সমকামী বিয়েকে সমর্থন করেন। সরকার যখন সমকামী বিয়ে নিয়ে কার্যত দোটানায়, সেই সময় টোকিও জেলা আদালত বুধবার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে। আদালত জানিয়েছে যে, সমকামী বিয়ে অসাংবিধানিক। তবে, সমকামী পরিবারগুলোকে রক্ষা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেই। যার ফলে সমকামী পরিবারগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।
এই মামলার অন্যতম আইনজীবী নোবুহিতো সাওয়াসাকি সমকামী অধিকারবাদীদের পক্ষে সওয়াল করেছেন। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, 'এটা মোটামুটি ইতিবাচক রায়। একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিয়ে বৈধ। আদালতও রায়ে সেকথা বলেছে। একইসঙ্গে আদালত বলেছে যে সমকামী পরিবারগুলোর জন্য যথেষ্ট আইনি সুরক্ষা নেই। তাই, এই ব্যাপারে কিছু করা উচিত।'
আরও পড়ুন- ভারত-চিন সম্পর্কে মাথা গলাবে না, ওয়াশিংটনকে ধমকি বেজিঙের, ফাঁস করল পেন্টাগন
টোকিও আদালত যে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা হল- সমকামী দম্পতিরা একে অপরের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হওয়ার সুযোগ পান না। বাড়ির শরিকি ভাগ হলে, তারও অংশ পান না। সমকামীরা একে অপরের পিতামাতার উত্তরাধিকার পান না। এমনকী, সমকামী বিবাহ অবৈধ হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরস্পরের সুযোগ পাওয়া থেকেও বঞ্চিত থাকেন। ফলে, বিষমকামী দম্পতিরা যে সুযোগ পান, সমকামীরা পুরসভা থেকে হাসপাতাল, সর্বত্র সেই সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিতই থেকে যান।
Read full story in English