বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা করোনার স্ট্রেনকে প্রতিরোধ করছে কোভ্যাকসিন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা উল্লেখ করে এই দাবি করেন আইসিএমআর-এর চিকিৎসক সমীরণ পন্ডা। তার দাবি, ভারত বায়োটেক এবং আইসিএম্আর-এর যৌথ উদ্যোগে উৎপাদিত কোভ্যাকসিন। দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে এই টিকা কার্যকরী বলে দাবি করেন ওই চিকিৎসক।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ ডাবল মিউটেন্ট ভাইরাস। সেই মিউটেশনকে প্রতিরোধ করছে কোভ্যাকসিন। এমনটাই সেই সমীক্ষায় উল্লেখ। তবে সেই ভারতীয় স্ট্রেন নয়, ইউকে, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনকেও প্রতিরোধ করছে এই টিকা। এমনটাই জানান ওই গবেষক।
সব রেকর্ড ভাঙল ভারতে দৈনিক সংক্রমণ। বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমিত ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪১ জন। মৃত্যুতেও রেকর্ড, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত ২,০২৩। যা প্রায় সর্বকালীন রেকর্ড। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বকালীন দ্বিতীয় সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। ভারতের আগে, একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। দৈনিক সংক্রমণই নয়, দৈনিক মৃত্যুতেও রেকর্ড গড়ল দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার পার করল। এই প্রথম দেশে দৈনিক মৃত্যু ২ হাজার ছুঁল। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৫৫৩ জনের।
করোনা প্রথম ঢেউয়ের সময় গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর দেশে দৈনিক সংক্রমণ শিখরে পৌঁছেছিল। সেইসময় সংখ্য়া ছিল ৯৮ হাজার ৭৯৫। সেই অর্থে এদিনের সংখ্যা সেদিনের প্রায় তিনগুণ। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ ছুঁয়েছিল ৩.০৭ লক্ষ। দেশে এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ১৬ হাজার ১৩০ জন। দেশে এই মুহূর্তে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লক্ষের বেশি।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে করোনা পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এখনই লকডাউন নয়। এটা এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। সেই রাজ্যেই ভ্যাকসিন পাবেন।‘ এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, ট্র্যাকিং, ট্রেসিং, আইসোলেশন। এটাই এখন সংক্রমণ প্রতিরোধে অব্যর্থ। তার সঙ্গে টিকাকরণ চালু রাখতে হবে।