করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা কোভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূল প্রয়োগের পর বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানালো ভারত বায়োটেক। এই তথ্যটি অবশ্য পিয়ার-রিভিউ করা হয়নি।
টিকা প্রস্ততকারী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তীব্র উপসর্গযুক্তদের শরীরে কোভ্যাকসিন ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী। উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রে এই হার ৬৩.৬ শতাংশ। করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আসন্ন। প্রমাদ গুনছে দেশ। আশঙ্কা যে তৃতীয় তরঙ্গে করোনার অনুঘটক হতে পারে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পর ভারত বায়োটেকের দাবি, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধেও সক্ষম তাদের তৈরি কোভ্যাকসিন। এই টিকা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে ৬৫.২ শতাংশ কার্যকরী।
সমস্ত সুরক্ষাবিধি ও যথাযথ পরিমাপ মেনে দেশের ২৫ হাসপাতালে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলেছে। ২৪ ঘন্টায় ১৩০ জন রোগীর শরীরে কোভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। রোগীদের বয়স ছিল ১৮-৯৮ বছরের মধ্যে। তারপরই জানা যায় যে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা কোভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী।
চলতি বছর জানুয়ারিতে ভারতে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেয় নয়াদিল্লি। তখন বারত বায়োটেক দাবি করেছিল যে, মার্চের মধ্যেই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ করা হবে। কিন্তু তা হয়নি।
এর আগে, ভারত বায়োটেকের মার্কিন অংশীদার ওকুজেন কোভ্যাকসিন সম্পর্কিত অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে একই তথ্য জানিয়েছিল। এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম বলে ঘোষণা করা হয়। এই টিকা প্রয়োগে মাত্র ১২.৪ শতাংশ রোগীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বলে জানানো হয়। তবে, হু বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও কোভ্যাকসিনে অনুমোদন দেয়নি। ফলে এই টিকা নিয়ে বিদেশযাত্রায় সমস্যার মুখে পড়ছেন ভারতীয়রা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন