Advertisment

করোনা প্রতিরোধে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন 'আশা দেখাচ্ছে' বিশ্বকে

অবশেষে সাফল্য মিলল। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে সাফল্যর দেখা পাওয়া গেল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রথম পর্যায়ে সাফল্য পেল কোভ্যাক্সিন

দেশে যে হারে করোনাভাইরাস প্রভাব বিস্তার করছে সেখানে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন-এই আশা রেখেছিল চিকিৎসকমহল। অবশেষে সাফল্য মিলল। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে সাফল্যর দেখা পাওয়া গেল।

Advertisment

এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য সারা দেশে মোট ১২টি ইনস্টিটিউটকে বেছে নিয়েছিল আইসিএমআর। তাঁদের মধ্য থেকে রোহতকের পোস্ট গ্র্যাডুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স (পিজিআই)-এর তরফে বলা হয়েছে মানবদেহে প্রথম পর্যায়ে কোভ্যাক্সিন টেস্টের ফলাফল 'আশা দেখাচ্ছে'।

আরও পড়ুন, ভাইরাসে 'করোনা' নেই! বিশ্বকে অবাক করে নয়া রূপ নিল কোভিড

চলতি সপ্তাহেই ৩০ বছরের এক ব্যক্তির দেহে কোভ্যাক্সিন সফলভাবে প্রয়োগ করে এইমস দিল্লি। সিটিআরআই-এর তরফে জানান হয়েছে কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হতে এক বছর তিম মাস সময় লাগবে। আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সঙ্গে একযোগে কোভ্যাক্সিন তৈরির কাজ করছে ভারত বায়োটেক সংস্থা।

সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রোহতকের এই ইনস্টিটিউট প্রাথম পর্যায়ে জুলাইয়ের ১৭ তারিখ ৫০ জন স্বচ্ছাসেবকের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে। যার ফলাফল এখনও পর্যন্ত আশা জাগাচ্ছে দেশের বিজ্ঞানমহলে। ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দলের প্রধান ডা: সবিতা ভার্মা বলেন যে ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে দ্বিতীয় দফায় ৬ জনের ওপর ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ দেওয়া হয়েছে।

কীভাবে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে?

প্রতিটি গ্রুপে ১২৫ জন করে রাখা হবে। যাদের প্রথম সপ্তাহে একটি এবং তৃতীয় সপ্তাহে একটি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ডেটা সেফটি মনিটারিং বোর্ড তাঁদের শারীরিক অবস্থার উপর লক্ষ্য রাখবে এবং সেখান থেকে তথ্য জমা করবে। পরবর্তীতে তাঁদের আরও বেশি ডোজের প্রয়োজন হবে কি না সেই দিকটিও নজরে রাখা হবে। গ্রুপ ২ এবং গ্রুপ ৩-কেও একই ভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন, ভারতে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন আসছে এই নভেম্বরেই! দাম কত?

রেজিস্ট্রেশনে বলা হয়েছে, “এই তিন গ্রুপে কীভাবে সুরক্ষা এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে সেই মতো একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট তৈরি হবে। যা পাঠান হবে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়াকে। কীভাবে ক্লিনিকালই এটিকে আরও উন্নত করে তোলা যায় সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করবে এই বোর্ড। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে দিয়ে একটি সুরক্ষিত,সহনশীল এবং ইমিউনোজেনিক ইন্ট্রামাসকুলার ভ্যাকসিন তৈরি করার চেষ্টা করে যাওয়া হবে।”

ক্লিনিকাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৫০ জন বিভিন্ন বয়সের সুস্বাস্থ্যবিশিষ্ট ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হবে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus COVID-19
Advertisment