দেশিয় করোনার টিকা কোভ্যাক্সিনের ৮১ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। টিকার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। বুধবার টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল প্রকাশিত হয়। তারপরই এই দাবি করেছে টিকা নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেক।
গত ৩ জানুয়ারি জরুরি ভিত্তিতে সেরাম ভারত বায়োটেককে করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। যদিও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যাক স্বেচ্ছাসেবক জোগাড় করতে ব্যর্থ হয় ভারত বায়োটেক। তাও টিকার কার্যকারিতার প্রমাণ চাড়াই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়ে দেয় ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ভিত্তিতেই করোনার প্রতিষেধক হিসাবে কোভ্যাক্সিন ফ্রন্টলাইন কর্মীদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়। দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়।
ভারত বায়োটেকের হায়দ্রাবাদের সদর দফতর টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে যে, কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়েরক ট্রায়ালে ২৫,৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেছিলেন। যা ভারতে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় তৃতীয় পর্যায়ের কার্যকারিতার পরীক্ষা। অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাঁরা টচিকা নেওয়ার পর ভাল আছেন, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। টিকার কার্যকারিতা প্রায় ৮১ শতাংশ।
টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেকের আসা এবার করোনার প্রতিষেধক হিসাবে শিশুদের শরীরেও কোভ্য়াক্সিন দেওয়া যাবে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ কমিটি ভারত বায়োটেককে তাদের টিকার কার্যকারিতার নথি জমা করার কথা বলেছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন