/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/dumdum-airport.jpg)
সতর্কতা দমদম বিমানবন্দরে।
পড়শি দেশ চিন করোনার তাণ্ডবে স্ত্রস্ত। আতঙ্কের ছায়া ভারতেও। ইতিমধ্যে বিদেশ ফেরত বেশ কয়েকজনের শরীরে মিলেছে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট BF.7। তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশজুড়ে করোনার তৎপরতার পাশাপাশি বিমানবন্দরেও কড়াকড়া করা হয়েছে। এবার থেকে চিন-সহ ছটি দেশ থেকে ভারতে এলেই এয়ারপোর্টে দেখাতে হবে নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট। নাহলে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার টুইট করে সরকারি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি লিখেছেন, চিন, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ড থেকে ভারতে আসার আগে সরকারি এয়ার সুবিধা পোর্টালে যাত্রার আগে নেগেটিভ রিপোর্ট আপলোড করতে হবে। তার পর বিমানবন্দরে এলে করোনা পরীক্ষা করা হবে। তার পরই দেশে ঢোকার অনুমতি মিলবে।
RT-PCR test has been made mandatory for flyers coming from China, Hong Kong, Japan, South Korea, Singapore and Thailand from 1st January 2023. They will have to upload their reports on the Air Suvidha portal before travel.
— Dr Mansukh Mandaviya (@mansukhmandviya) December 29, 2022
প্রসঙ্গত, ভারতসহ সারা বিশ্বে করোনার আতঙ্কের মধ্যেই সামনে আসছে এক বড় তথ্য। দাবি করা হচ্ছে যে জানুয়ারিতে ভারতে কোভিড-এর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৪০ দিন ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি সূত্র এ তথ্য দিয়ে জানিয়েছে আগামী ৪০ দিন সতর্ক না থাকলেই ফের আরও একটা কোভিড ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ভারতে।
চিন ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এদিকে সতর্ক হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারতে এখনই চতুর্থ ডোজের প্রয়োজন নেই। অ্যান্টি-কোভিড ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ এই সময়ে অপ্রয়োজনীয়, কারণ দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনও তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ পাননি। এছাড়াও, ভারতে, বিপুল সংখ্যক মানুষ ইতিমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরও ইতিমধ্যেই টিকা দেওয়া হয়েছে, তাই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।