করোনায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফে কিছুটা স্থিতি এলেও মৃত্যুর হার চিন্তায় ফেলেছে কেন্দ্রকে। করোনা ভাইরাস যেমন চরিত্র বদলাচ্ছে তেমনই চরিত্র বদলাচ্ছে এই ভাইরাসে মৃতদের বয়সের পরিসংখ্যান। প্রাথমিকভাবে ষাটোর্ধ্বরা এই কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও এপ্রিলের ১৮ তারিখ থেকে মৃত্যু মিছিলে সংখ্যা বেড়েছে ষাট বছরের চেয়ে কমবয়সিদের।
এখনও পর্যন্ত দেশে নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১০৭৫ জনের। ১৮ এপ্রিলের পর থেকে দেখা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশের বয়স ষাট বছরের নীচে। এদিকে প্রাথমিকভাবে ৭৫ বছর এবং তার চেয়ে বেশি বয়সিরাই আক্রান্ত হয়েছিলেন বেশি এবং মৃত্যুর নিরিখে ৪২.২ শতাংশ ছিল সেই হার। যা ১৮ এপ্রিলের পর নেমে দাঁড়িয়েছে ৯.২ শতাংশে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে এখনও পর্যন্ত যতজনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৪৫ বছরের নীচে সেই সংখ্যার হার ১৪ শতাংশ, ৪৫-৬০ এ সেই হার ৩৪.৮ শতাংশ, ৬০-৭৫ বয়সীদের হার ৪২ শতাংশ, ৭৫ বছর ও তার বেশিদের মৃত্যু হার ৯.২ শতাংশ। সুতরাং যদি গড় বিচার করে দেখা যায় তাহলে যারা মারা গেছেন তাঁদের মধ্যে ৬০ বছরের নীচে যাঁদের বয়স তাঁদের হার ৪৮.৮ শতাংশ।
প্রসঙ্গত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে ১৮ এপ্রিলের আগের পরিসংখ্যান বলছে সেই সময় ৭৫ বছরের উপর যাঁদের বয়স মৃত্যুহারে সেই সংখ্যা ছিল ৪২.২ শতাংশ। ৬০-৭৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে সেই হার ছিল ৩৩.১ শতাংশ, ৪৫-৬০ বছরে ১৪.৪ শতাংশ। অর্থাৎ মৃত্যুর নিরিখে ষাটের চেয়ে কমবয়সিদের হার ছিল ২৪.৭। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি হয়েছে শেষ কয়েক দিনে।
এদিকে, ২৩ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালে সংক্রমণ দ্বিগুণত্বের হার ৭.১৩ দিন। এটা অন্য যে কোনও বেশি সংক্রমণ সংখ্যাযুক্ত রাজ্যের চেয়ে বেশি- ব্যাতিক্রম গুজরাট ও অন্ধ্র্প্রদেশে দ্বিগুণত্বের হার ছিল ১০ দিনের বেশি। কেরালায় এই সংখ্যাটা ৩৭ দিন এবং আশ্চর্যজনকভাবে গত এক সপ্তাহে তেলেঙ্গানায় সংখ্যাটা ৫৮ দিনে পর্যবসিত হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন