করোনা সংক্রমণ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যের এহেন সংক্রমণের জেরে মানুষের শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। বলা উচিত, রীতিমতো সর্দি কাশি জ্বরে ভুগছেন বহু মানুষ। এবং সহজেই কাবু হয়ে পড়ছেন। দুর্বলতা গ্রাস করছে সহজেই। করোনা ভাইরাসের জেরে সবথেকে বেশি অসুবিধা রয়েছে কাদের? কোন বয়সীদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণের সুযোগ বেশি?
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসের সেক্রেটারি মানস গুমটা বলছেন, করোনা সংক্রমণ রাজ্যে যে হারে বাড়ছে তার জন্য দায়ী মানুষ নিজেই। তবে হ্যাঁ অল্প বয়সীদের তুলনায় বয়স্কদের মধ্যে এবারও সংক্রমণের সমস্যা বেশি। বিশেষ করে যারা কমর্বিডিটির রোগী, তাদের বিশেষ সচেতন থাকা উচিত। বাচ্চাদের মধ্যে ইমিউনিটি ব্রেক হলেও সেটা বিশাল আঘাত করবে না। তবে হ্যাঁ সচেতন থাকা অবশ্যই উচিত।
বুস্টার আদৌ কাজ করছে সঠিকভাবে? গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া। তিনি বলছেন, "আমি একেবারেই বলছি না যে বুস্টার নেওয়ার পর কেউ সংক্রমিত হয় নি। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেই করোনা কবলে পড়েছিলেন। তবে অবশ্যই মৃত্যু হার, শারীরিক সমস্যা কমেছে। রাতারাতি হাসপাতাল - ভেন্টিলেশনে এগুলোর প্রয়োজন কমেছিল। কারণ, বুস্টার কিছুমাত্রায় হলেও শরীরে কাজ দিয়েছিল"।
শুধু এই নয়, মানসিক চাপের মারাত্মক শিকার হচ্ছেন সকলে - এই নিয়েও জানালেন। পোস্ট কোভিড এমন এক পরিস্থিতি যাতে, মানুষ মারাত্মক ভেঙে পড়ছেন। মানসিক ভাবে তারা একেবারেই ঠিক থাকছেন না। হৃদরোগ থেকে কিডনির সমস্যা - সবকিছুই দেখা দিচ্ছে। নতুন করে রোগের সঞ্চার হচ্ছে, সহজেই মানুষের দেহে ইনফেকশন দানা বাঁধছে। আর যাই হোক, করোনা আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে এলেও নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা বজায় রাখুন। মাঝে মাঝে চেকআপ করান। এই রোগ ভিতর থেকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতি করে তাই সাবধান।