আতঙ্ক জারি রেখে হুহু করে ছড়াচ্ছে করোনা। একদিনে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫ হাজারের গণ্ডিও। বাড়ছে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫,৫৮৭।
হুহু করে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৫,৩৩৫ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫,৫৮৭। দৈনিক ইতিবাচকতার হার ৩.৩২% এ রেকর্ড করা হয়েছে এবং সাপ্তাহিক ইতিবাচকতার হার ২.৮৯% এ দাঁড়িয়েছে। সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৮.৭৫% এ দাঁড়িয়েছে, ডেটা বলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২,৮২৬ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের অধীনে এখন পর্যন্ত মোট ২২০.৬৬ কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত 24 ঘন্টায় প্রায় ১,৯৯৩ টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে, এ পর্যন্ত দেশে ৯২.২৩ কোটি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত 24 ঘন্টায় প্রায় ১,৬০,৭৪২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এক দিন আগে বুধবার, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৩ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রা ছুঁয়েছিল। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হন ৪৪৩৫ জন। একই সঙ্গে দেশে একদিনে করোনার বলি ১৫ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৩০,৯১৬। মহারাষ্ট্র থেকে চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ছত্তিশগড়, দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, কর্ণাটক, পুদুচেরি এবং রাজস্থান থেকে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সতর্ক থাকা দরকার, বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া সোমবার বলেছেন যে ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট যা দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ি। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা না বাড়লেও মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তবে আতঙ্কের কোন কারণ নেই। ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টের কারণেই দ্রুত কোভিড আক্রান্তের ঘটনা বেড়ে চলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক গত সপ্তাহে সারা দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে কোভিড -১৯-এর জন্য সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করেছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে "শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে, জ্বর-সর্দি-কাশি হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, বিশেষ করে যদি জ্বর ৫ দিন একটানা থাকে তাহলে দেরি না করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাজির হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাদের অন্যান্য রোগ রয়েছে তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে”।