কয়েকদিনে ভারতে অবিশ্বাস্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছে ছ'লক্ষ। যা বিশ্বে নজিরবিহীন। ভারতই সেই দেশ যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ছাড়িয়েছে নব্বই হাজারের গন্ডি। সেই প্রেক্ষাপটে গলদ খুঁজতে এবার জেলায় জেলায় নজরদারি করতে চায় কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই জেলার উচ্চপদস্ত আধিকারিকদের থেকে কনটেনমেন্ট জোন, নজরদারি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পরিদর্শন, সুরক্ষা ব্যবস্থার মতো বিষয়গুলি আদৌ মানা হচ্ছে না এ বিষয়ে সমস্ত রিপোর্ট জমা নেওয়া হয়েছে। সেই সব ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় গলদ রয়েছে, ফাঁক রয়েছে কাজে তা দেখা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে ভারতে হঠাৎ করে করোনার এমন বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে জেলার এই 'ফাঁক'কেই মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে কেন্দ্র এখন এ সব বিষয়ে আর স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী নয়। বরং প্রশাসনিক আধিকারিক, প্রধান মেডিকেল অফিসার যারা জেলা স্তরে অতিমারী নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গেই সরাসরি যোগাযোগ শুরু করেছে। রাজ্যগুলির মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা অত্যন্ত আশংকাজনক। গত দু’সপ্তাহে এই রাজ্য থেকেই কয়েক লক্ষ আক্রান্ত হয়েছে। অগাস্টের শেষে প্রাথমিকভাবে দৈনিক আক্রান্ত ১২ থেকে ১৪ হাজার হলেও রবিবার তা বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার। এরপর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু।
আরও পড়ুন, করোনা সংক্রমণের নয়া পর্যায় শুরু ভারতে
শনিবার থেকেই দেশের ১৭টি জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যালোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। আলাদা ভাবে বৈঠক হয়েছে দিল্লির সঙ্গেও। কারণ সেখানেও আচমকা বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। কেন্দ্রের এক উচ্চপদস্ত আধিকারিক বলেন, "অস্বীকার করার উপায় নেই যে সংক্রমণটি নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামাঞ্চলে অতটা ছড়াচ্ছে না। তবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে। করোনা প্রাদুর্ভাব এখন শহরতলী এলাকাগুলিতে বেশি।"
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সরকারি সূত্র জানায়, "রাজ্যগুলি জানে যে এই ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, নজরদারি করতে হবে, চিকিৎসার কৌশল কী কী অবলম্বন করতে হবে ইত্যাদি। তারা সকলেই সচেতন। কিন্তু তাও কেন রাজ্যগুলি থেকে এত বিপুল সংখ্যক আক্রান্তের খবর আসছে? আমাদের জন্য এটা চ্যালেঞ্জের সমান।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন