করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ করা প্যাকেজের টাকা খরচই করতে পারছে না রাজ্যগুলি। মোট বরাদ্দ টাকার ২০ শতাংশেরও কম এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত ওই টাকায় রাজ্যে-রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতির আহ্বান জানানো হয়েছিল। করোনা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত শয্যা, আইসিইউয়ের বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছিল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে।
ফের একবার দেশজুড়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ২৩,১২৩ কোটি টাকার এমার্জেন্সি কোভিড-১৯ রেসপন্স প্যাকেজ বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সরকার। গত অগাস্ট মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বরাদ্দে অনুমোদন দেয়। তবে এখনও পর্যন্ত মোট টাকার মাত্র ১৭ শতাংশ সম্মিলিতভাবে খরচ করতে পেরেছে রাজ্যগুলি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ড্যভিয়া বলেন, ''আগের তুলনায় ভারত-সহ অন্য দেশগুলিতে করোনার সংক্রমণ ৩-৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাপক হারে বেড়ে চলা এই সংক্রমণ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। রাজ্যগুলির করোনার এই ঢেউয়ের মোকাবিলা করার জন্য আরও উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখা উচিত নয়।''
আরও পড়ুন- ‘যদি আপনার ফোন পেগাসাসে বিদ্ধ হয়’, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির নাগরিক বার্তা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''ECRP-II-এর অধীনে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আইসিইউ শয্যা, অক্সিজেন শয্যা, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ/এইচডিইউ শয্যা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে টেলি-মেডিসিন এবং টেলি-পরামর্শের জন্য আইটি সরঞ্জামগুলি কার্যকরভাবে ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়েছিল। মানুষজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি, অ্যাম্বুলেন্সের সময়মত প্রাপ্যতা, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনের ব্যবস্থা মসৃণ করার জন্য রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল।''
গত বছরের অগাস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নতুন ২৩,১২৩ কোটি টাকার কোভিড-১৯ এমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড হেলথ সিস্টেম প্রিপারেডনেস প্যাকেজ: ফেজ-২-এর অনুমোদন করেছিল। তবে অধিকাংশ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই এখন সেই টাকার ২০ শতাংশও খরচ করে উঠতে পারেনি।
Read full story in English