বিভিন্ন দেশের হাল দেখে শঙ্কিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, করোনার ব্যাপারে অবহেলা চলবে না। নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে। এবার একধাপ এগিয়ে সরকার জানাল, করোনাবিধি তোলা হলেও আগেরই মতোই এপ্রিল থেকে বহাল থাকবে স্বাস্থ্যবিধি। দেশে করোনা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু, বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনা ফিরেছে। তার মধ্যে যে সব দেশগুলোয় করোনা প্রথমদিকে হানা দিয়েছিল, সেখানেই উঠেছে নতুন করে করোনার ঢেউ। যাতে চিন্তিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কারণ, ওই সব দেশগুলোয় মধ্যেখানে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। আগের চেয়ে বিধিনিষেধও শিথিল হয়েছিল। তারপরও ফের হানা দিয়েছে এই ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, করোনা ফের হানা দিতে পারে। আরও মারাত্মক ভাবেও হানা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশের পরিস্থিতি দেখার পর সেই সতর্কবার্তা আরও বেশি করে মান্য করার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনা হানা দেওয়ার পর, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ প্রথমবার কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল। তারপর থেকে নির্দিষ্ট সময় পরপর সেই নির্দেশিকার সময়সীমা বেড়েছে। কখনও তা বেশি কঠোর করা হয়েছে। কখনও বিধি শিথিল হয়েছে। সেভাবেই কেন্দ্রীয় সরকার ভেবেছিল ৩১ মার্চের পর থেকে করোনাবিধি তুলে দেওয়া হবে। সেইমতো ১ এপ্রিল থেকে তা তুলেও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, বহাল থাকছে স্বাস্থ্যবিধি।
আরও পড়ুন- পরাজিত হয়েও দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ ধামির
স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ২২ মার্চ বিভিন্ন রাজ্যের সচিবদের চিঠিতে লিখেছেন, ' দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু, করোনার নতুন সংস্করণ ওমিক্রন হানা দেওয়ার পর তা ডেল্টার চেয়েও তিন গুণ বেশি গতিতে সংক্রমণ ঘটিয়েছে। বর্তমানে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৮।' এসব দেখেই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বহাল রাখা হচ্ছে মাস্ক এবং স্বাস্থ্যবিধি। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেন, যত বেশি নমুনা পরীক্ষা হবে, ততই সংক্রমণের পরিস্থিতি জানা যাবে। সেই পরামর্শও মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি, দেশে সোমবার থেকে ১২ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণে আরও জোর দেওয়া হবে। এভাবে সতর্কতা মেনে চললেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেই আশা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।
Read story in English