Advertisment

করোনার কোপে সবচেয়ে ক্ষতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে, ঋণ বেড়েছে ২০ হাজার কোটি

এক বছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির খেলাপি ঋণের অঙ্ক ২০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তথ্যের অধিকার আবেদনের জবাবে জানায়িছে RBI।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covid 19, lockdown hit MSMEs hardest, their bad loans spiked Rs 20,000 crore in 2020-21

গত দু'বছরে করোনা মহামারীর জেরে অর্থনীতির মন্থর গতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (MSMEs) সবচেয়ে বেশি আঘাত এনেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির গ্রস নন-পারফর্মিং অ্যাসেট বা এই শিল্পগুলির দ্বারা খেলাপি ঋণের অঙ্ক ২০ হাজার কোটি বেড়ে ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে ১,৬৫,৭৩২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২০-এর সেপ্টেম্বরে এই ঋণের অঙ্ক ছিল ১,৪৫,৬৭৩ কোটি কোটি টাকা। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তথ্যের অধিকার (আরটিআই) আবেদনের জবাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এমনই তথ্য জানিয়েছে।

Advertisment

আরবিআই-এর মতে, MSME-এর খারাপ ঋণ এখন ১৭.৩৩ লক্ষ কোটি টাকার গ্রস অ্যাডভান্সের ৯.৬ শতাংশের জন্য দায়ী। যে অঙ্কটি ২০২০-এর সেপ্টেম্বরে ৮.২ শতাংশ ছিল। এরই পাশাপাশি আরবিআই আরও জানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ১,৩৭,০৮৭ কোটি টাকার MSME NPA-এর জন্য দায়ী।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত PNB-এর MSME NPA ছিল ২৫ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। পিএনবি-র ঠিক পরেই রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তাদের MSME NPA ২৪ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা, একইভাবে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের ২২ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা এবং কানাড়া ব্যাঙ্কের ১৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা।

ঋণ নন-পারফর্মিং অ্যাসেটে পরিণত হয় যখন মূল বা সুদ ৯০ দিন পরেও বকেয়া থেকে যায়। দেখা গিয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি, ২০২০-এর ফেব্রুয়ারি, ২০২০-এর আগস্ট এবং ২০২১-এর মে মাসে RBI MSME-এর জন্য চারটি ঋণ পুনর্গঠন প্রকল্প ঘোষণা করার পরেও খারাপ ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

আরও পড়ুন-

এই প্রকল্পগুলির অধীনে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৩২ কোটি টাকার ২৪.৫১ লক্ষ MSME অ্যাকাউন্টের ঋণ পুনর্গঠন করা হয়েছিল। RBI-এর 'ট্রেন্ড অ্যান্ড প্রোগ্রেস অফ ব্যাঙ্কিং' রিপোর্ট অনুযায়ী, RBI দ্বারা জারি করা ২০২১-এর মে-এর সার্কুলারের অধীনে ৫১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠন করা হয়েছিল।

আরবিআই-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী একটি মাইক্রো ইউনিটের বিনিয়োগ এক কোটি টাকার বেশি এবং টার্নওভার ৫ কোটি টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। ছোট ইউনিটের বিনিয়োগ ১০ কোটি টাকার বেশি হওয়া উচিত নয় এবং টার্নওভার হওয়া উচিত ৫০ কোটি টাকার মধ্যে। একটি মাঝারি উদ্যোগের বিনিয়োগ ৫০ কোটি টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। এবং টার্নওভার থাকা উচিত ২৫০ কোটি টাকার মধ্যে।

Read full story in English

RBI corona Lockdown MSME effect
Advertisment