অনলাইনে নাম নথিভুক্ত না করেও সরাসরি টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে নেওয়া যাবে করোনার বুস্টার বা সতর্কতামূলক ডোজ। শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার বুস্টার বা সতর্কতামূলক ডোজের প্রয়োগ। স্বাস্থ্যকর্মী ও সামনের সারির কোভিড যোদ্ধারা পাবেন এই ডোজ। এছাড়াও ষাটোর্ধ্ব কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের দেওয়া হবে করোনার সতর্কতামূলক ডোজ। ৯ মাস আগে যাঁরা করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজটি পেয়েছেন তাঁদেরই আগে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
Advertisment
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, করোনার এই সতর্কতামূলক ডেজা নিতে গেলে CoWIN অ্যাপে নতুন করে নাম নথিভুক্ত করার দরকার নেই। যাঁরা করোনা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন তাঁরা সরাসরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন বা যে কোনও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারেন। শনিবার সন্ধে থেকে অনলাইনে টিকা নিতে নাম নথিভুক্তকরণ করা যাবে। এই সপ্তাহের শুরুতেই সরকার জানিয়েছিল, "সতর্কতামূলক" ডোজ প্রথম দুটি ডোজের মতোই দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিকদের টিকা নেওয়ার জন্য অসুস্থতা প্রমাণ করতে প্রেসক্রিপশন বা মেডিক্যাল শংসাপত্র দেওয়ার দরকার নেই।
২৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশজুড়ে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ এবং করোনার বুস্টার ডোজ প্রয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ইতিমধ্যেই গত ৩ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে-রাজ্যে জেরাদার গতিতে এগোচ্ছে শিশুদের এই টিকাকরণ। এবার ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে করোনার বুস্টার বা সতর্কতামূলক ডোজের প্রয়োগ।
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে দেশজুড়ে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, শুক্রবার নতুন করে দেশে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১০০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে করোনা পজিটিভিটি রেট ৭.৭৪ শতাংশ। দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৬৩। শুক্রবার পর্যন্ত দেশে ১৫০ কোটির বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই দেশজুড়ে ৮১ লক্ষের বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে।