দেশে যখন বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা, সেই আবহে করোনা পরীক্ষা নিয়ে শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা। দেশের কোভিড পরীক্ষার চাহিদা কমাতে জ্বর, সর্দিকাশির মতো মৃদু উপসর্গ থাকলে রোগীকে করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
ঠিক কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "মৃদু/ খুব মৃদু/ উপসর্গ নেই এমন রোগীর ক্ষেত্রে টানা তিন দিন জ্বর না এলে এবং পালস ঠিক থাকলে ১০ দিন পর রোগীকে ছেড়ে দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। তবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর নির্দেশিকা অনুসারে রোগীকে আরও ৭ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে।" প্রসঙ্গত গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩২০ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯৬৬২ এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ১৯৮১ জনের।
নয়া নির্দেশিকায় এও বলা হয় যে, "যদি ছুটির আগে দেখা যায় রোগীর দেহে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫% নীচে আছে, সেক্ষেত্রে তাঁকে ডেডিকেটেড কোভিড হেলথ সেন্টারে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রোগীর যদি আবার জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হয় তবে তাঁকে কোভিড কেয়ার সেন্টারের সঙ্গে বা রাজ্যের হেল্পলাইন নাম্বার ১০৭৫ এ যোগাযোগ করতে হবে। পরবর্তী ১৪ দিন টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখা হবে।"
মৃদু উপসর্গ হিসেবে ধরা হচ্ছে ৩ দিনের মধ্যে যাদের সমস্যা সমাধান হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, "তিন দিনের মধ্যে জ্বর কমে গেলে, দেহে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫ শতাংশের বেশি থাকলে এবং আলাদা করে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন না থাকলে তাঁদের ক্ষেত্রে পরীক্ষা না করেই ১০ দিন পর ছেড়ে দেওয়া হবে।" কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান যে এই মুহুর্তে এক দিনে ভারতে ৯৫ হাজার করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। তবে আগামীতে তা বাড়িয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন