ভ্যাকসিন বাজারে আনার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ভারত। শুরু হয়ে গিয়েছে গণ টিকাকরণের প্রস্তুতি। যা জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় দেশের এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, ২ কোটি ফ্রন্টলাইনার যার মধ্যে পুলিশ, সামরিক বাহিনীও রয়েছে এবং ২৭ কোটি সাধারণ মানুষ যাঁদের বয়স পঞ্চাশের উপরে ও যাঁদের বয়স পঞ্চাশের কম কিন্তু কো-মর্বিডিটি রয়েছে, এমন তিনটি গোষ্ঠীকে আগে টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি পরামর্শ দিয়েছে, যে সমস্ত দেশবাসীর টিকাকরণ প্রয়োজন প্রথমে তাঁদেরই টিকা দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ যিনি আবার জাতীয় উপদেষ্টা গোষ্ঠীর কো-চেয়ারম্যান, এমনটাই জানিয়েছেন গণ টিকাটকরণ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে। চেয়ারম্যান ভি কে পল জানিয়েছেন, শিক্ষকদেরও প্রাধান্যের তালিকায় রাখা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছরের শুরুতেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তবে গণ টিকাকরণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভারত সরকারই নেবে বলে জানিয়েছেন ভূষণ। তাঁর মতে, "প্রথম দফায় বা বলা যায় নতুন বছরের শুরুতে সীমিত পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য পাওয়া যাবে। কিন্তু পরবর্তী মাসে সেটা বাড়বে। তখন বিভিন্ন প্রাধান্যমূলক গোষ্ঠীর উপর প্রয়োগ করা হবে।"
আরও পড়ুন ভ্যাকসিন না কি ‘স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা’ কোনটি বেশি ভাল?
তিনি আরও দুটি বিষয় যোগ করেছেন। জানিয়েছেন, "প্রথমত, এটা পুরোটাই জাতীয় উপদেষ্টা মণ্ডলীর পরামর্শ। আর সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আর দ্বিতীয়ত, এটাই নির্দিষ্ট নাও হতে পারে। টিকার উপলব্ধতার উরর নির্ভর করবে গণ টিকাকরণ।" স্বাস্থ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, ১.৫৪ লক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মী টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে। দেশে ২.৩ লক্ষ এমন প্রশিক্ষিত কর্মীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে আমরা ঠিক করেছি, গণ টিকাকরণের জেরে রুটিন স্বাস্থ্য পরিষেবায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে। তাই বেছে বেছে ১.৫৪ লক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মীকে ভার দেওয়া হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন