চলতি সপ্তাহেই মুম্বইয়ে মিলেছিল এক্সই ভাইরাসের খোঁজ। এবার করোনার নয়া ভেরিয়েন্টের সন্ধান মিলল গুজরাটে। এক মাস আগে নমুনা পরীক্ষা করা রোগীর মধ্যে কোভিড-১৯-এর এক্সই ভেরিয়েন্টের হদিশ পাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গুজরাটের স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব মনোজ আগারওয়াল।
সরকারি ওই আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ৬৭ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির দেহে এক্সই ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্ত মুম্বাই থেকে ভাদোদরা গিয়েছিলেন। ১২ মার্চ একটি হোটেলে থাকার সময় নমুনা পরীক্ষা করেছিলেন।
মনোজ আহারওয়ালের কথায়, 'গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার 12 দিন আগে রোগীর মধ্যে এক্সই বেরিয়েন্ট সনাক্ত করেছে। নমুনাটি INSACOG নির্দেশিকা অনুসারে নিশ্চিতকরণের জন্য বাংলার একটি পরীক্ষাগারে (DBT- National Institute of Biomedical Genomics (NIBMG), Kalyani) পাঠানো হয়েছিল৷ শুক্রবার রাতে এক্সই ভেরিয়েন্টের নিশ্চিত রিপোর্ট মিলেছে। আমরা আরও বিশদ তথ্য পাব এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিচিতিদের সন্ধানের চেষ্টা করছি।'
চলতি সপ্তাহেই মুম্বইয়ে বিদেশফেরত এক মহিলার দেহে কোভিড-১৯-এর নয়া এক্সই রূপের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি করেছিলেন বৃহন্মুম্বই পুর কর্তৃপক্ষ এবং মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সেই দাবিতে স্বীকৃতি দেয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জানিয়েছিল, এক্সই রূপে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা আক্রান্তের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয়। এর পর জিন বিশেষজ্ঞরা বিশদে নমুনাটি বিশ্লেষণ করেন। তবে তাঁদের অনুমান যে এই রূপটির জিনের গঠন এক্সই রূপের জিনের গঠন থেকে আলাদা।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে, ভাদোদরার মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ দেবেশ প্যাটেল বলেছেন, 'রোগী মুম্বইয়ের 67 বছর বয়সী এক ব্যক্তি, যিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভাদোদরায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁরা পৌঁছানোর পরে একটি হোটেলে যান। ব্যক্তির জ্বরের উপসর্গ তৈরি হয়েছিল। ফলে তিনি কোভিড পরীক্ষা করেছিল এবং ফলাফল পজিটিভ এসেছিল। ফলে ওই ব্যক্তি মুম্বইতে ফিরে আসেন এবং সেখানে কঠোর হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তিনি ভাদোদরায় কারও সঙ্গে দেখা করেননি।'
গত সপ্তাহেই বৃহন্মুম্বাই পুরসভার পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতে নেওয়া স্যাম্পেল থেকে এক্সই ভ্যারিয়েন্টের কথা বলা হলেও, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জিনোম সিকোসেন্সিং-এর এব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়নি। বৃহন্মুম্বাই পুরসভা এলাকায় সম্ভাব্য এক্সই সংক্রামক বলে যাঁকে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তাঁর দুটি ভ্যাকসিন আগেই নেওয়া ছিল। ভারতের আসার পরে তাঁর রিপোর্ট ছিল নেগেটিভ। কিন্তু ২ মার্চ পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। তবে পরের দিনই তাঁর পরীক্ষায় ফের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
Read in English