শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা রাজ্যের করোনা-গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যু-হার। শনিবার মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০,৬৬১-তে নেমে এলেও একদিনে ১১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। গত ছয় মাসের মধ্যে এটাই মুম্বইতে করোনার দৈনিক সর্বোচ্চ বলি। তবে সার্বিকভাবে মহারাষ্ট্রে শনিবার দৈনিক সংক্রমণ কমেছে। শুক্রবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৩ হাজার ২১১ জন। শনিবার সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৪৬২। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের শিকার, জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরের এক সিনিয়র আধিকারিক।
জানা গিয়েছে, ২০২১-এর ১ নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত RTPCR পজিটিভ ৪ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৪ হাজার ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল হাতে এসেছে। দেখা গিয়েছে এঁদের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৭ জন অর্থাৎ মাত্র ৩২ শতাংশ। বাকি ৬৮ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন।
এপ্রসঙ্গে কোভিড ১৯ টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ শশাঙ্ক জোশি আরও বলেন, “আমরা ট্রানজিশন পর্বে আছি। যেখানে ওমিক্রন এখনও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। ডেল্টা আরও গুরুতর। কোমর্বিডিটি ও ফুসফুসের সমস্যা আছে এমন রোগীদের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।”
এদিকে বিএমসি সূত্রে খবর, সুস্থতার হার ৯১ শতাংশে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে এদিন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭২২ জন। মোট আক্রান্তের ৮৪% রোগীর মধ্যে সেভাবে কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। হাসপাতালের মোট শয্যার মাত্র ১৫ শতাংশ শয্যায় এই মুহূর্তে রোগী ভর্তি রয়েছেন। যে ১১ জনের শনিবার মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং তাঁরা নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে বিএমসি’র তরফে জানানো হয়েছে।