শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা রাজ্যের করোনা-গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যু-হার। শনিবার মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০,৬৬১-তে নেমে এলেও একদিনে ১১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। শহরে করোনায় মৃত্যুর এই পরিসংখ্যান ২০২১-এর জুলাইয়ের পর থেকে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ একদিনে মৃত্যু। তবে সার্বিকভাবে মহারাষ্ট্রে শনিবার দৈনিক সংক্রমণ কমেছে। শুক্রবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৩ হাজার ২১১ জন। শনিবার সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৪৬২। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।
''মুম্বই করোনার তৃতীয় তরঙ্গের শিখরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এবার সংক্রমণ আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে'', এমনই মনে করেন রাজ্য কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ শশাঙ্ক জোশি। যদিও মুম্বই শহরের ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর হার নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। শুক্রবার মুম্বইয়ে করোনা কামড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বেড়ে হয়েছে ১১। মুম্বইয়ের ৯০ শতাংশ করোনা রোগীই উপসর্গবিহীন বা হালকা লক্ষণযুক্ত। শহরে ১-১৩ জানুয়ারির মধ্যে রেকর্ড করা ৪৭টি মৃত্যুর মধ্যে ৪২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
রাজ্য কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ শশাঙ্ক জোশি আরও বলেন, ''আমরা ট্রানজিশন পর্বে আছি। যেখানে ওমিক্রন এখনও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। ডেল্টা আরও গুরুতর। কোমর্বিডিটি ও ফুসফুসের সমস্যা আছে এমন রোগীদের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।"
জানা গিয়েছে, ২০২১-এর ১ নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত RTPCR পজিটিভ ৪ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৪ হাজার ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল হাতে এসেছে। দেখা গিয়েছে এঁদের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৭ জন অর্থাৎ মাত্র ৩২ শতাংশ। বাকি ৬৮ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন- গত ৭ মাসে রেকর্ড সংক্রমণ, কেন্দ্রের ঘুম কাড়ছে ওমিক্রন
দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি জারি। রবিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২০২ জন। গতকালের চেয়ে এদিন সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই হাজার। একদিনে দেশে করোনার বলি আরও ৩১৪। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৭৭ জন। বর্তমানে ডেইলি করোনা পজিটিভিটি রেট বেড়ে ১৬.২৮ শতাংশ। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৭৪৩।
Read full story in English