রোজই বেড়েই চলেছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই করোনার এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জনসাধারণকে মাস্ক পরা এবং কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
আজও তিন হাজারের উপরে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। গতকালের চেয়ে সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দেশে প্রায় ১৮ হাজার ছুঁইছুঁই করোনা অ্যাক্টিভ কেস। রাজধানী দিল্লির করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় রেখেছে কেন্দ্রকে। শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৭ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজার ৩০৩।
এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ৮০১। একদিন দেশে করোনায় মৃত্যু ৬০ জনের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনার বলি ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৫৩। এমন পরিস্থিতিতে সকলকে আরও একবার সচেতন করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায় সংক্রমণে রাশ টানার একমাত্র উপায় মাস্ক পরা এবং যাবতীয় কোভিড প্রটোকল মেনে চলা।
ইতিমধ্যেই দিল্লি সরকার মাস্ক না পরার ওপরে ৫০০ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে সেই সঙ্গে মুম্বইয়েও মাস্ক পরার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেছেন মহারাষ্ট্র সরকার। যদিও আমাদের দেশে মোট যোগ্য জনসংখ্যার প্রায় ৯৬ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে এর পাশাপাশি ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মোট ৮৪% তাদের উভয় ডোজ পেয়েছেন।
তা সত্ত্বেও মাস্ক পরা আমাদের সকলের জন্য খুরই গুরুত্বপূর্ণ। কেন? মহামারী বিশেষজ্ঞ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়া বলেছেন, “টিকা আমাদের মৃত্যু আটকাতে পারে সংক্রমণ নয়, সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের সকলকেই মাস্ক পরা একটা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে তা হলে হলে যে কোন সময়ে পরবর্তী ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: আজও ৩ হাজারের উপরে দৈনিক সংক্রমণ, কেন্দ্রের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই রাজ্য
বিশেষ করে যারা কোমর্বিডিটিতে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে জীবন বাঁচাতে মাস্ক অপরিহার্য”। মউলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক ডাঃ সুনীলা গর্গ বলেছেন, “মাস্কিং গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অবশ্যই এটি প্রচার করা উচিত।”
কখন আমাদের মাস্ক পরা একান্ত ভাবেই দরকার?
বিশেষ করে জনবহুল স্থানে ট্রেন, বাস রাস্তা ঘাটে, সিনেমা হলে মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। বাড়িতে যখন আমরা থাকছি তখন আমাদের এই মুহূর্তে মাস্কের সেভাবে কোন প্রয়োজন নেই। ফাঁকা স্থানে মর্নিং ওয়াকের সময়ও মাস্ক পরার কোন দরকার নেই কিন্তু আমরা যখন বাড়ি ফিরে বাজারে যাব তখন আমাদের মাস্ক পরতেই হবে। তবে বাড়িতে কেউ যদি সংক্রমিত হন তবে অবশ্যই আমাদের বাড়ির ভিতরও মাস্ক পরতে হবে।