করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি-সহ ছয়টি রাজ্যকে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার দিল্লি শহরে আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ২,৪১৯। যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে ১২.৯ শতাংশেরই করোনা ধরা পড়েছে। তবে শুধু দিল্লিই নয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানাকেও চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলেছেন, আসন্ন উত্সব এবং গণজমায়েতগুলো করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আর তাই রাজ্যগুলিকে সংক্রমণ রুখতে করোনা পরীক্ষায় জোর দিতে হবে। প্রতিটি জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট নিয়মিত সংগ্রহ করতে হবে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫ আগস্টের চিঠিতে ভূষণ জানিয়েছেন, জেলাগুলোতেও যে পর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষা হয়েছে, তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। ৫ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের সাপ্তাহিক নতুন করোনা সংক্রমণ ঘটেছে ৮.২ শতাংশ। তার মধ্যে দেশের রাজধানী দিল্লির একটা বড় ভূমিকা আছে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
জেলাভিত্তিক তথ্যের ওপর জোর দেওয়ার কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব আরও জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রে জুলাই মাসে গড়ে ২,১৩৫টি করোনা সংক্রমণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর, কেরলে সংখ্যাটা ছিল গড়ে ২,৩৪৭। তিনি রাজ্যগুলোকে কোভিডের ওপর নজরদারি নিয়ে সংশোধিত নির্দেশ অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মোদীর কর্মসূচি ‘হর ঘর তিরঙ্গা’, কিন্তু আরএসএসের সঙ্গে জাতীয় পতাকার সম্পর্কটা কেমন?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এই প্রসঙ্গে বলেন, ' রোগের লক্ষণ এবং রোগের ধাঁচ পরিবর্তন, নির্দেশিকা অনুসারে জেলাভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জা-জাতীয় অসুস্থতা, জ্বর-সর্দি জাতীয় অসুস্থতার ওপর নিয়মিত নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ জরুরি। এই সব ঘটনার কথা মন্ত্রককে জানানোও জরুরি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবেই এটি প্রয়োজন।'
এর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক যাত্রীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং নতুন সংক্রমণের ঘটনার পরীক্ষার ওপরও স্বাস্থ্য মন্ত্রক জোর দিয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন যে সংগৃহীত নমুনাগুলো রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অবশ্যই নির্ধারিত ল্যাবে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, ' কোভিড টিকা অমৃত মহোৎসব'-এর অধীনে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যগুলোতে চলবে বিনামূল্যে টিকাকরণ।
Read full story in English