নভেল করোনাভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেন শনাক্ত হওয়ার পর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ প্রায় ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পাশাপাশি বেড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগও। এই ভ্যারিয়েন্ট ইজি.৫ বা 'ইরিস' নামেও পরিচিত। এক্সবিবি.১.৯.২ নামে একটি ওমিক্রন সাব ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কিত। গোটা বিশ্বে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-র মত দেশগুলো। তার সাপ্তাহিক আপডেটে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে এইসব দেশগুলো ১০ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ করোনা সংক্রমণের ঘটনা নতুন করে নথিভুক্ত করেছে। যা আগের ২৮ দিনের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেড়েছে। তবে, মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭ শতাংশ কমে বর্তমানে ২,৫০০-এ এসে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে যে, করোনা সংক্রমণের যে সংখ্যা নথিভুক্ত হয়েছে আর যে মৃত্যুর সংখ্যা নথিভুক্ত, তা প্রকৃত সংখ্যার প্রতিফলন নয়। কারণ বিভিন্ন দেশ মহামারীর আগের চেয়ে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে নজরদারিও কমিয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হল, করোনা সংক্রমণের অনেক নতুন ঘটনা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘটেছে। বিশেষ করে ওই অঞ্চলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ১৩৭ শতাংশ বেড়েছে। এমনটাই জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জাপানের মত বেশ কয়েকটি দেশে সাম্প্রতিক গ্রীষ্মের সপ্তাহগুলোয় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন- বিরোধীদের কণ্ঠরোধের জন্য কী ছক বিজেপির? ফাঁস করলেন অধীর
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট করা নতুন করে হওয়া করোনা সংক্রমণের ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ঘটেছে কোরিয়া, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালিতে। থেকে। আবার ব্রাজিল, কোরিয়া, রাশিয়া, পেরু এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এসব মাথায় রেখেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার বিবৃতিতে বলেছে, 'কোভিড-১৯ নিয়ে উদ্বেগ এখনও থেকে গেছে। এই কারণে দেশগুলোকে করোনা রোখার জন্য তৈরি পরিকাঠামো না-বদলানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।'