অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীদের মৃত্যু খুনের সমতূল্য, গণহত্যার থেকে কম নয়। উত্তরপ্রদেশের মীরাট ও লখনউয়ে হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনায় এই ভাষাতেই মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। দুই জেলার জেলাশাসককে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি সিদ্ধার্থ ভার্মা এবং অজিত কুমার প্রশ্ন তুলেছেন, "কীভাবে মানুষকে এভাবে মরতে দেওয়া হচ্ছে! যখন মেডিক্যাল সায়েন্স এত আধুনিক হয়েছে যে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন, ব্রেনের অস্ত্রোপচার এখন সর্বত্র সম্ভব।"
একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এই ভাবে প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করেন দুই বিচারপতি। তাঁরা জানিয়েছেন, দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকার পদক্ষেপ করুক। দুই জেলাশাসককে নির্দেশ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর তদন্ত করে শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। শুনানির সময়েও তাঁদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মীরাট মেডিক্যাল কলেজে গত রবিবার আইসিইউ-তে পাঁচজন করোনা রোগীর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়। আরও একটি বেসরকারি হাসপাতালে একইরকম ঘটনা ঘটে। সেখানেও চাহিদা মতো অক্সিজেন সরবরাহ না করার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, সরকারের দাবির সঙ্গে মিডিয়ার রিপোর্টে অসঙ্গতি রয়েছে। সরকার দাবি করেছে, অক্সিজেনের কোনও অভাব হয়নি।
আদালত আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কোথাও কোনও গলদ পেলে, পঞ্চায়েত ভোটে নির্বাচনী ডিউটিতে কোনও অফিসারের মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাউকে রেয়াত করা হবে না। পাশাপাশি লকডাউন জারি করার উপযোগিতা বুঝতে পারার জন্য সরকারের প্রশংসা করেছে হাইকোর্ট।