ডেল্টা-ওমিক্রনের টি-২০ স্টাইলে ঝড়ো ইনিংসে নাজেহাল অবস্থা দেশ তথা রাজ্যেরও। কিছুটা কম সংক্রমণ হতেই ধীরে ধীরে নিউ নর্মালের দিকে দেশ তথা রাজ্য এগোতে শুরু করেছে। খুলেছে স্কুল কলেজ। কিন্তু এখনও নির্মূল হয়নি করোনা সংক্রমণ আগের থেকে কমলেও ভাবাচ্ছে মৃত্যু হার। বাংলাতে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা ৩০-এর ওপরেই। এখন সকলের মনেই একটাই প্রশ্ন কবে বিদায় নেবে করোনা। এবার কিছুটা আশার আলোর কথা শোনাল আইসিএমআর।
আইসিএমআর-এর শীর্ষ অধিকর্তা জানান আগামী মার্চেই বদলাতে পারে গোটা পরিস্থিতি। আরও কমতে শুরু করবে করোনা, প্যানডেমিক থেকে এন্ডেমিক হয়ে উঠবে এই মারণ ভাইরাস। তাতেই কিছুটা আশার আলো দেখছেন দেশের জনগণ।
আইসিএমআর-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ সমীরণ পাণ্ডা জানান, করোনার তৃতীয় ঢেউতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে। আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা কমছে।আগামী মার্চ থেকেই আরও কমবে এই সংখ্যা। ধীরে ধীরে কমবে মৃত্যুও। আইসিএমআর-এর শীর্ষ অধিকর্তার দাবি, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংক্রমিতের সংখ্যা কমবে আরও। কমবে ভয়াবহতা। করোনা রূপ নেবে সাধারণ সর্দি, কাশির। তার ফলে সাধারণ মানুষ আবারও পুরনো জীবনযাত্রা ফিরতে পারবেন বলেই আশা। তবে মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইতি ঘটবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে সেই সঙ্গে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেও নিয়েও কিছুটা চিন্তার সুর ধরা পড়েছে তাঁর গলায়।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৫২ জন। স্বস্তি দিয়ে কমল অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৪৮। নিম্নমুখী দৈনিক পজিটিভিটি রেটও। এই মুহূর্তে ভারতে ৭.৯৮ শতাংশ করোনা পজিটিভ রেট। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৫৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১ হাজার ১১৪ জন। একই সঙ্গে সরস্বতী পুজোর দিন বঙ্গেও কমেছে সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১৩৪৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। এদিকে করোনার দাপট কিছুটা কমতেই স্কুলে কলেজে সরস্বতী পুজোয় মেতে উঠেছে পড়ুয়ার। শহর থেকে জেলা সর্বত্রই একই ছবি ধরা পড়েছে।