মহামারীর কারণে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় দারিদ্র্যের পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ: এডিবি

এডিবি তাদের ৪৯টি আঞ্চলিক সদস্য দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামাজিক ও পরিবেশগত পরিসংখ্যান বিস্তারিত মূল্যায়ন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

এডিবি তাদের ৪৯টি আঞ্চলিক সদস্য দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামাজিক ও পরিবেশগত পরিসংখ্যান বিস্তারিত মূল্যায়ন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মহামারীর কারণে ব্যাপক বেকারত্ব, অসমতা বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্যের মাত্রা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে

গত বছরের তুলনায় কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও প্রায় সাড়ে সাত কোটি থেকে আট কোটি মানুষকে ‘চরম দরিদ্রতা’য় ঠেলে দিয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবির এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisment

কি ইন্ডিকেটরস্ ফর এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক ২০২১’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারি এশিয়ার ও প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকায় নির্ধারিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র বা এসডিজি অর্জনকে হুমকিতে ফেলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির কারণে (আর্থিক) বৈষম্য বেড়েছে; বিশেষ করে চরম দরিদ্রতা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন ১ দশমিক ৯০ ডলার আয় করা ব্যক্তিদের প্রতিবেদনে চরম দরিদ্রতার ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে। এই সংখ্যা মহামারী কালে বৃদ্ধি পেয়েছে আরও কয়েকগুণ। এই সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩.৭ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুসারে বলা হয়েছে, এশিয়ার যেসব এলাকায় দারিদ্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা গিয়েছিল, মহামারির কারণে সেগুলোর অগ্রগতিও স্তব্ধ হয়ে গেছে। মহামারীর আগে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যারা চরম দারিদ্রের মধ্যে থাকা মানুষের সংখ্যা বেশ খানিকটা কমতে থাকে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৪.৯ মিলিয়ন, ২০১৮ সালে ১৮ মিলিয়ন এবং ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল ২১.২ মিলিয়ন। এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেছেন, "মহামারীর কারণে ব্যাপক বেকারত্ব, অসমতা বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্যের মাত্রা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নারী, তরুণ শ্রমিক এবং বয়স্কদের মধ্যে এই সংখ্যা উল্লেখ যোগ্য ভাবে বেড়েছে। "

Advertisment

এডিবি তাদের ৪৯টি আঞ্চলিক সদস্য দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামাজিক ও পরিবেশগত পরিসংখ্যান বিস্তারিত মূল্যায়ন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার ৫.২ শতাংশ বা ২০ কোটি ৩০ লাখ মানুষ চরম দরিদ্রতায় জীবনযাপন করছেন (২০১৭ সাল পর্যন্ত)। যদি কোভিড-১৯ হানা না দিতো, তাহলে ২০২০ সাল নাগাদ এ হার ২ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছাত।

এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুউকি সাওয়াদা বলেন, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল যতেষ্ট অগ্রগতি করছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এ অঞ্চলের যে আর্থ-সামাজিক চ্যুতি রেখাকে উন্মোচিত করেছে, যা অঞ্চলটির টেকসই এবং সর্বত্রব্যাপী উন্নয়নকে দুর্বল করে দিতে পারে। সেই সঙ্গে এডিবির পক্ষ থেকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনা মহামারীর কারণে তাদের কাজ হারিয়েছেন। বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।