অতিমারি কালীন সময়ে জামিনে অথবা প্যারোলে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় ৪ হাজার বন্দী জেলে ফিরতে চলেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বিচারাধীন, বর্তমানে জামিনে মুক্ত, শুক্রবার সকলেই আত্মসমর্পণ করবেন। মহামারী শুরু হওয়ার সময় জেলে কোভিড -১৯ এর বিস্তার রোধে এদের সকলকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়।
২৪ শে মার্চ, বিচারপতি এম আর শাহের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ মহামারী চলাকালীন সময়ে দিল্লিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত সকল আসামীকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। প্রক্রিয়ার বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ডিজি (কারাগার)।
শীর্ষ আদালত তার রায়ে ঘোষণা করে, 'এটি বিতর্কিত নয় এবং বিতর্কিত হতে পারে না জেলের মধ্যে ভিড়ের কথা বিবেচনা করে এবং অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে জেলবন্দী আসামীদের মধ্যে কোভিড -১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়। সেই সমস্ত বিচারাধীন বন্দীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে মুক্তি দেওয়া হয়নি। অতএব, এখন যখন কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে, সেই সমস্ত বন্দী যারা প্যারোলে, অন্তবর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পেয়েছে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে,”।
সরকারের তথ্য অনুসারে শুধুমাত্র দিল্লিতেই, মহামারীকালীন সময়ে চলাকালীন মোট ৩৬৩০ জন বিচারাধীন বন্দী এবং ৭৫১ জনকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। এবিষয়ে ৪৩ বছর বয়সী এক বিচারাধীন বন্দী যিনি কোভিড কালে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি বলেন, ২০২০ সালের মে মাসে তিহার জেল থেকে মুক্তি পাই।
কোভিডের প্রথম তরঙ্গ শেষ হওয়ার পর, আমাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। আমি জেলে ফিরে যাই কিন্তু দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় আবারও আমি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছি। এখন, দুই বছর এমি আমার পরিবারের সঙ্গে রয়েছি একটি চাকরিও পেয়েছি। আমাকে আবারও ১৫ দিনের নোটিসে জেলে ফিরে যেতে হবে,” । আদালত আরও উল্লেখ করেছে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া ৭৫১ জন আসামিদের মধ্যে ৭১ জন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। অন্যদিকে বিচারাধীন বন্দীদের মধ্যে মার্চ পর্যন্ত মোট ২৬৭ আত্মসমর্পণ করেছেন।