Advertisment

ফের করোনার চোখরাঙানি, দিল্লিতে বাড়ছে সুনামির গতিতে, প্রকাশ সমীক্ষায়

দিল্লি সরকারও স্বীকার করে নিয়েছে, সেখানে করোনা বাড়ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India reports 19,673 new cases in the last 24 hours

আতঙ্ক জিইয়ে রেখেছে করোনা।

করোনা যায়নি। নতুন করে ফিরে এসেছে। আর, শুধু ফিরেই আসেনি দ্রুতগতিতে তা বাড়ছে। এতদিন ভিনদেশে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল। এবার এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিল্লি এবং তার উপকণ্ঠের এলাকা বা এনসিআর-এ। এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে দিল্লি এবং এনসিআর-এ করোনার সংক্রমণ ৫০০ শতাংশ গতিতে বেড়ে গিয়েছে। গত ১৫ দিনে দিল্লি এবং তাঁর উপকণ্ঠের ১৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের অথবা তাঁদের চেনাজানা কারও করোনা হয়েছে। এই সমীক্ষা চালিয়েছিল লোকালসার্কেল নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ১১,৭৪৩ জনের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দিল্লি এবং এনসিআরের সব জেলায় সমীক্ষা হয়েছে বলেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির দাবি। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই সংস্থাটি এই রিপোর্ট তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে।

Advertisment

বাসিন্দাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, গত ১৫ দিনে তাঁদের চেনাশোনা বা পরিমণ্ডলে থাকা কতজন ব্যক্তির করোনা হয়েছে? জবাবে ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই অবশ্য জানিয়েছেন, গত ১৫ দিনে হয়নি। তবে, ১১ শতাংশ জানিয়েছে এক অথবা দু'জনের, আট শতাংশ জানিয়েছে তিন থেকে পাঁচ জনের, করোনা হয়েছে। বাকি ১১ শতাংশ কিছু বলতেই পারেনি। শুধু জানি না বলেছে। অথবা, উত্তর দেওয়া এড়িয়ে গিয়েছে। ফের একই প্রশ্ন নিয়ে ২ এপ্রিল সমীক্ষা চালিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। তখন দেখা গিয়েছে, উত্তরদাতাদের জনাতিনেক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির করোনা হয়েছে। আর, সেটাও গত ১৫ দিনে।

আরও পড়ুন- জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষ ঘিরে উসকানিমূলক মন্তব্য বিজেপি কাউন্সিলরের, ভেস্তে গেল শান্তি বৈঠক

তবে, শুধু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটিই না। দিল্লি সরকারও স্বীকার করে নিয়েছে, সেখানে করোনা বাড়ছে। শনিবারই দিল্লিতে ৪৬১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যাঁরা পরীক্ষা করিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫.৩৩ শতাংশেরই করোনা ধরা পড়েছে। পাশাপাশি, দু'জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বেশিরভাগ লোকেরই করোনার দুটো ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বুস্টার ডোজ নেওয়াও শুরু হয়েছে। তার ওপর নাবালকদেরও করোনার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণে সংক্রমণ বাড়লেও চরম আতঙ্কের কিছু নেই। তবে, যাঁরা ইচ্ছে করেই করোনার ডোজ নেননি, ভয়টা তাঁদের নিয়েই।

Read story in English

coronavirus
Advertisment