কোভিড পরীক্ষায় ভয়ানক গাফিলতির অভিযোগ উঠল বিহার প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ভুয়ো ডেটার এমন ঘটা যে সেখানে নামের পাশে ফোন নাম্বার লেখার বদলে সেখানে ১০টি শূন্য লেখা। জামুইয়ের বারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৪৮ জনের মধ্যে ২৮ জনের মোবাইল নাম্বারে কোনও সংখ্যাই নেই। অথচ তাঁদের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ২৫ জানুয়ারিও একই ঘটনা ঘটেছে।
Advertisment
জামুই সদর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একই ঘটনা ঘটেছে। ১৫০ জনের মধ্যে ৭৩ জনের ক্ষেত্রে এই নাম্বার বিভ্রাট ঘটেছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে যে তদন্ত করা হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে জানুয়ারি মাসে বিহারের ছ'টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৮৮৫টি এন্ট্রি এমনটা হয়েছে। এমনকী নাম ও কোভিড পরীক্ষার ফলাফলে গাফিলতি রয়েছে। করোনা পরীক্ষার কিট অবৈধভাবে বিক্রিরও অভিযোগ উঠছে।
জেলা সদরের ডেটা এন্ট্রি কর্মীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের দোষারোপ করে দাবি করেন যে, "স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা মোবাইল নম্বর পূরণ না করে এমন ক্ষেত্রে সিস্টেমে ডেটা আপলোড ও যাচাই করতে তাদের ১০জিরো দিয়ে এন্ট্রি করতে হত"। তবে জেলা আধিকারিকরা স্বীকার করেছেন যে এ জাতীয় কাজে নিখুঁত তদন্তের বিশেষত জামুই সদর শহরে অবস্থিত পিএইচসিগুলিতে অনুসন্ধান করা দরকার। জামুইতে দুটি ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়, ২০০০০০০০০০। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্ত অনুসারে এমনটাই জানান গিয়েছে।
জামুইয়ের একজন বর্ষীয়াণ জেলা অফিসার বলেন, “এখন যে জাল তথ্য আমাদের নজরে এসেছে, আমরা এটি পিএইচসি পর্যায়ে পরীক্ষা করব। এই পিএইচসিগুলি জামুই সদরের মতো বা আশেপাশের শহরে রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে পরীক্ষা যাঁদের হয়েছে তাঁদের ফোন নম্বর নেওয়া হয়নি।" এমনকি যদি নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোন না থাকে, তবে সাধারণ প্রোটোকল অনুযায়ী যদি পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হয় তবে কিছু আত্মীয় বা কাছের কারওর ফোন নাম্বার রেখে দেওয়া হয়।"