দেশজুড়ে গণ টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। কিন্তু তার আগেই বড় ধাক্কা খেল ভারত বায়োটেক। তাদের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবকের। ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুর খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা। তারা জানিয়েছে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
ভোপালের গান্ধী মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, ২১ ডিসেম্বর স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় পিপলস মেডিক্যাল কলেজের তরফে। মৃতের ছেলে হাসপাতালকে মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে তিনি আসেন। সবরকম সুরক্ষা, বিধিনিষেধ তাঁকে জানানো হয়েছিল। সেইসময় তিনি সুস্থই ছিলেন। প্রথম ডোজ দেওয়ার সাতদিন পর নিয়মমাফিক তাঁকে ফোন করে স্বাস্থ্যের খোঁজও নেওয়া হয়। তখনও কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি তাঁর শরীরে। কিন্তু ৯ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় তাঁর। এর সঙ্গে টিকা প্রয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন অপেক্ষার অবসান! ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হবে গণ টিকাকরণ
প্রসঙ্গত, তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আনেনি ভারত বায়োটেক। এমনকী টিকার কার্যকারিতা কত শতাংশ তাও সরকারি ভাবে জানায়নি এই সংস্থা। তবুও কেন্দ্র জরুরি প্রয়োগের জন্য কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিয়েছে। সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। মানুষের সুরক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। তবে ভারত বায়োটেকের কর্ণধার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তাদের টিকা নিয়ে অহেতুক রাজনীতি হচ্ছে। এই মৃত্যুর ঘটনায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও হদিশ পায়নি বলে জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। তদবে তদন্তে তারা মধ্যপ্রদেশ পুলিশকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে রাজি বলে জানিয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন