ইতিমধ্যেই দেশে ১৭২ কোটির বেশি করোনা টিকা ডোজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাঁচ থেকে পনেরো বছর বয়সীদের টিকাদান কবে থেকে শুরু হবে এদিন তা স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া। তিনি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছ থেকে সুপারিশের পরই শুরু হবে ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের টিকাদানের কাজ।
মান্ডাভিয়া আরও জানান এখন পর্যন্ত সরকারের কাছে এ ধরনের কোনো সুপারিশ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে এক আলোচনা চলাকালীন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে তিনি জানান, ‘কখন কোন জনগোষ্ঠীকে টিকা দানের কাজ শুরু করতে হবে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বিশেষজ্ঞ কমিটির ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। তাঁদের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার টিকাদানের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে’। বুস্টার ডোজের প্রসঙ্গ টেনে এনে মন্ত্রী বলেন ’বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের মাত্র সাতদিনের মধ্যে সরকার বুস্টার ডোজ প্রদানের কাজ শুরু করেছে’।
আরো পড়ুন: করোনা-স্বস্তি মহারাষ্ট্রে, ক্রমেই কমছে সংক্রমণ
তাঁর কথায় “আজ, টিকা দেওয়া কোনো সমস্যা নয়। আমাদের পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে, ডোজ এর কোন অভাব নেই। আমরা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুসরণ করব,”। অবশেষে তিনি জানান, ‘বিশেষজ্ঞরা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টিকাদানের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখে টিকার প্রয়োজনীয়তাকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করেন কোন জনগোষ্ঠীর জন্য টিকার প্রয়োজনীয়তা কতখানি’। দেশের টিকাদান কর্মসূচির অধীনে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৭৫ শতাংশ টিকার ডোজ পেয়েছেন বলেও এদিন জানান মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন ৯৬ শতাংশ এবং টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন ৭৭ শতাংশ মানুষ।
ইতিমধ্যে ভারত বিশ্বকে টিকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি দ্রুত গতিতে টিকা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে টিকাদানের কাজে ভারত বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। টিকা দানের কারণেই ভারতে তৃতীয় ঢেউ সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘ডেটা অনুসারে এখনো পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের প্রায় ৬ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে’। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে , ভারত এখন পর্যন্ত মোট ১৭২ কোটিরও বেশি মানুষ টিকার ডোজ পেয়েছেন।
Read in English