ভারতের বড় বড় শহরগুলোতেই করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের নিদান দিচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু, স্মার্ট সিটি মিশনের নিরিখে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গঠন যে কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রাধিকার নয়- তা স্পষ্ট। তথ্য খতিয়ে দেখলেই জানা যাচ্ছে যে, স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় ৫,৮৬১ প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৬৯টি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য- যা ২০১৫ সালে মোট প্রকল্পের মাত্র এক শতাংশ।
এই ৬৯ প্রকল্প ১০০ স্মার্ট সিটির মধ্যে ৫৫টিতে কার্যকরী। স্মার্ট সিটি প্রকল্পে জন্য ব্যয় করা ধার্য ২১১২.০৬ কোটি। এর মধ্যে ২০৫.০১৮ কোটি ৬৯ প্রকল্পের জন্য খরচ হচ্ছে- যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের মাত্র এক শতাংশ। শতাংশের বিচারে যা কেন্দ্র ও রাজ্য সমুহের মোট খরচের থেকেও কম, ২০৯১-২০ অর্থবর্ষের মোট জাতীয উৎপাদনের মাত্র ১.৬ শতাংশ।
মিশনের আওতায় ৪৯১ প্রকল্পের জন্য ১০০ কোটি বরাদ্দ কেবল তিনটি খাতে। এগুলি হল- এরোদে (৩৭০ কোটি), বেলাগাভি (৩৫০ কোটি) এবং তুমাকুরু (৩৫০ কোটি)। এই খাতেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হয়ে থাকে।
পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্রীয সরকার ২০১৫ সালে স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্প চালু করে। চার খাতে ১০০ শহরকে বেছে নেওয়া হয়। ১০টি ক্ষেত্রের মধ্যে অন্যতম আগ্রাধিকার ছিল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ ও খরচের নিরিখে কেন্দ্রের আগ্রাধিকার গুরুত্ব পায়নি।
গোটা দেশে ৩০ পুরনিগম এলাকায় করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি ব্যাপকহারে হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে এইসব শহর থেকেই দেশের মোট সংক্রমণের ৭৯ শতাংশ পজিটিভ। সংক্রমণের চূড়ায় থাকা মাত্র ১৭ শহর স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় রয়েছে। এখানে সরাসরি মিশনের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খাতে খরচ করা হচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন