দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ঘিরে নানা শঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছে। তার মধ্যেই মিলেছে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট XE-র হদিশ। গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে দুই ব্যক্তির শরীরে এই জীবাণু বাসা বেঁধে ছিল বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু, এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই আশ্বাস্ত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওমিক্রনের BA.1 এবং BA.2-এর যুগ্ম সংক্রমণকেই XE বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একে আবার হাইব্রিড করোনা-ও বলা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, XE সাব-ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের থেকে ভয়ঙ্কর বলে এখনও কোনও প্রমাণ মেনেনি। BA.2 রূপের তুলনায় XE ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে ধারণা। তবে, ভারতে যেহেতু ওমিক্রনের BA.1 রূপটি ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমণ ছড়িয়েছিল, তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা, XE বিশেষ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। উল্লেখ্য, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকেই চলতি বছর জানুয়ারিতে দেশে তৃতীয় কোভিড তরঙ্গের সূত্রপাত হয়েছিল।
INSACOG-এর সাপ্তাহিক বুলেটিন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ১২ টি রাজ্যে কোভিড মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে মাস্ক বাধ্যতামূলক হয়েছে। এদিকে, ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি তথ্য অনুসারে, অন্যান্য ১৯টি রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সরকারি আধিকারিক বলেছেন, 'এখন পর্যন্ত দেশে খুবই কম রিকম্বিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত করা হয়েছে। এরা সবাই ভৌগোলিকভাবে ভিন্ন অঞ্চলের। কোনও ক্লাস্টার গঠন দেখা যায়নি।'
উদ্বেগের কোনও কারণ খারিজ করে ওই সরকারি আধিকারিক বলেছেন যে এটি, 'ভাইরাসের সমস্ত পরিবর্তন রেকর্ড করা আণবিক মহামারী বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি মজার অনুশীলন। কিন্তু যতক্ষণ না এটিএটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ততক্ষণ জনস্বাস্থ্যের তার তাৎপর্য নেই।'
দিল্লি সহ কিছু অঞ্চলে সংক্রমণের নতুন বৃদ্ধি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ল্যাব বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেছেন যে, 'ডেল্টা বা ওমিক্রন তরঙ্গের সময় যে অভিঘাত দেখা গিয়েছিল XE তেমন তীক্ষ্ণ নয়।' ঋতু বদলের ফলেই সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Read in English