/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/07/alwar-lynching-759.jpg)
আবার একবার গণপিটুনিতে মৃত্যু রাজস্থানের আলোয়ারে। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ফের গরুপাচারের সন্দেহে পিটিয়ে মারা হল এক ব্যক্তিকে। এবং ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে আবার রাজস্থানের আলওয়ার। শুক্রবার রাতে আকবর খান নাম ২৮ বছরের এক যুবককে গরু পাচারের সন্দেহে পিটিয়ে মারা হলো। পুলিশ সূত্রের খবর, আকবর এবং তাঁর সঙ্গী আসলাম পায়ে হেঁটে গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু রামগড় থানা এলাকায় তাঁদের ঘিরে ধরে জেরা করতে শুরু করেন কিছু গ্রামবাসী। "রাত বারোটা -একটা নাগাদ এঁরা দুজন দুটি গরু নিয়ে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, সে সময় গ্রামবাসীরা তাঁদের থামান। কিন্তু তাঁরা পালানোর চেষ্টা করতে গ্রামবাসীরা তাড়া করে তাঁদের ধরে ফেলেন। গণপ্রহারে আকবর গুরুতর আহত হন এবং পরে তাঁর মৃত্যু হয়, যদিও আসলাম পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন," জানান রামগড় থানার সাব ইন্সপেক্টর সুভাষ চাঁদ।
উল্লেখযোগ্য, কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট দেশে ক্রমবর্ধমান গণপ্রহারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মোট দিয়েছিলেন যে এই ধরণের ঘটনায় দেশের প্রতিটি রাজ্যের অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
The incident of alleged lynching of a person transporting bovines in Alwar district is condemnable. Strictest possible action shall be taken against the perpetrators.
— Vasundhara Raje (@VasundharaBJP) July 21, 2018
"আমরা গরু দুটিকে কাছাকাছি একটি গোশালায় পাঠিয়ে দিয়েছি, এবং এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশ), ৩৪১ (বেআইনিভাবে কাউকে আটক করা), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), এবং ৩৪ (একাধিক ব্যক্তি মিলে অপরাধ সংঘটিত করা) ধারায় এফআইআর দায়ের করেছি," আরও জানান সুভাষ।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজ্যে এই ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, দোষীদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে। টুইটারে এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, "আলওয়ার জেলায় সম্ভাব্য গণপ্রহারের ঘটনা নিন্দনীয়। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাসম্ভব করা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো গ্রেফতারির খবর পাওয়া যায় নি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের পয়লা এপ্রিল আলওয়ারেই প্রায় ২০০ জন স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের হাতে মার খেয়ে মৃত্যু হয় পেহলু খান নামক মধ্য-পঞ্চাশের এক ব্যক্তির। পেশায় ডেয়ারি চাষি পেহলু ছিলেন হরিয়ানার নূহ জেলার বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গী ছ'জনকেও সেদিন মারধর করা হয়, এবং তাঁদের মোবাইল এবং নগদ এক লক্ষ টাকার বেশি অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।