দেশের অর্থনীতিকে পোক্ত করতে গরু, গোবর ও গোমূত্র গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এমনটাই মনে করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিরাজ সিং চৌহান। পশু চিকিৎসকদের মহিলা শাখার এক অনুষ্ঠানে ভূপালে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'গরু বা বলদ ছাড়া অনেক কাজই এগোতে পারে না। এরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ,ঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে গরু ও তাদের গোবর, গোমূত্র সব রাজ্য এমনকী দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারে।'
শিবরাজ সিং চৌহানের সংযোজন, 'কীটনাশক থেকে ওষুধ- গোবর, গোমূত্র দিয়ে সবকিছু তৈরি হয়। সুতরাঁ এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী, যথাসাধ্য সহায়াতার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে মহিলাদের যোগদান কাজ অনেকটা সহজসাধ্য করতে পারে।'
বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশেই প্রথম গো-অভয়ারণ্যের সূচনা হয়েছে। যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত। গরুদের রক্ষা করতে গতবছর গো-মন্ত্রিসভা (কাউ ক্যাবিনেট) গঠন করার কথা ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। স্বরাষ্ট্র, বন, পশুপালন-সহ সাতটি দফতর এই গো-মন্ত্রিসভার অংশ হবে।
বাংলার প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গরুর দুধে সোনার সন্ধানের হদিশ দিয়ে সাড়া ফেলেদিয়েছিলেন। করোনা রুখতে বিজেপি সাংসদের গলায় গো-চোনা সেবনের দাওয়াই শোনা গিয়েছে। এবার দেশের অর্থনীতি পোক্ত করতেও গরুর অপরিসীম গুরুত্বের কথা তুলে ধরলেন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী।
তবেস গো-রাজনীতিতে পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। ২০১৮ সালের মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের সময় প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় গোশালা গঠন করে বাণিজ্যিকভাবে গোমূত্র উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশের সবচেয়ে প্রচীন রাজনৈতিক দলটি। এছাড়া গো-অভয়ারণ্য তৈরি ও তার দেখভালে অর্থবরাদ্দের আশ্বাসও দেওয়া হয়।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব যুব সমাজের কর্মসংস্থানে গো-পালনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন। বলেছিলেন যে, '১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বড় শিল্প স্থাপনের ফলে যেখানে ২ হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে, সেখানে ৫ হাজার পরিবারকে ১০ হাজারটি গরু দান করলে ৬ মাসের মধ্যে ভালো উপার্জন সম্ভব।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন