দেশজুড়ে বিতর্কের পর কামধেনু গো-বিজ্ঞান প্রচার-প্রসার পরীক্ষা স্থগিত করল কেন্দ্র। রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাঠিরিয়ার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার একদিন পরই পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় আয়োগ। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। নিজেদের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে কামধেনু আয়োগ। তবে মনে করা হচ্ছে, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়াদের অসন্তোষের জেরেই এই সিদ্ধান্ত।
পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও কারণ জানানো হয়নি আয়োগের তরফে। পরীক্ষার নয়া দিনক্ষণ নিয়েও কিছু জানায়নি তারা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হয়। গত ২০১৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার একটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে কামধেনু আয়োগের প্রতিষ্ঠা করে। লক্ষ্য ছিল, গোসম্পদ উন্নয়ন, সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ। কাঠিরিয়াই আয়োগের প্রথম চেয়ারম্যান হন। নিজের মেয়াদকালে গো-বিজ্ঞান নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা করে বিতর্কের শিরোনামে আসেন তিনি।
তিনি বলেছিলেন, "গরু বিজ্ঞানে ভরপুর। আমরা যদি ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির কথা বলি, আমাদের দেশে ১৯.৪২ কোটি গোবংশ রয়েছে। গরু যদি দুধও না দেয়, তাও গোমূত্র-গোবর অনেক দামি। এগুলি যদি ব্যবহার করা হয়, তাহলে গোটা অর্থনীতি তরতরিয়ে এগোবে।" তবে কাঠিরিয়ার মেয়াদ শেষ হওয়া এবং গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় মৎস্য, প্রাণীবিকাশ ও দুগ্ধ মন্ত্রকের সূত্রের মতে, সরকারের বেশ কিছু শীর্ষ আধিকারিক কামধেনু আয়োগের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হন। আয়োগের চেয়ারম্য়ান পদে বসে বিজ্ঞানের নামে কুসংস্কার ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে কাঠিরিয়ার বিরুদ্ধে।