গো-রক্ষকদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে আরও একবার সরব হল দেশের শীর্ষ আদালত। গোরক্ষকদের দমন করতে ফের রাজ্যগুলিকেই কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গোরক্ষার নামে যে হত্যালীলা চলছে, তা ঠেকাতে রাজ্যগুলিকেই পদক্ষেপ করতে হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ‘‘এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেওয়া যায় না। কোনওভাবেই এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, তা রাজ্যগুলিকেই সুনিশ্চিত করতে হবে’’, এদিন গোরক্ষকদের তাণ্ডব প্রসঙ্গে এমনটাই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
গো-রক্ষককারীদের তাণ্ডবের ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায় যে, এটা আইন-শৃঙ্খলার বিষয় এবং এটা রাজ্যের দায়দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। গোরক্ষার নামে যে তাণ্ডব চলে তা আসলে জনরোষ, যা অপরাধ বলে এদিন পর্যবেক্ষণ করেছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। এ ধরনের ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে গতবছরই নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অমিতাভ রায় ও বিচারপতি এ এম খানউইলকরের বেঞ্চ।
এ ধরনের ঘটনা থেকে মুক্তির উপায় কী? এ প্রসঙ্গে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানান যে, এ ঘটনা রোখার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও যথোপযুক্ত পদক্ষেপ দরকার সরকারের। গোরক্ষার নামে হত্যা নিয়ে আগেই রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের থেকে রিপোর্ট চেয়েছিলেন আদালত। এ ধরনের হিংসা রুখতে ওই তিন রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে তা নিয়েই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল শীর্ষ আদালতের তরফে। এদিন ফের ওই তিন রাজ্যের থেকে এ ব্যাপারে জবাব চাওয়া হয়েছে। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর ওই তিন রাজ্যের থেকে এ নিয়ে জবাব চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। ওই তিন রাজ্য আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে এই মর্মে পিটিশন দাখিল করেছিলেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী। সেই আবেদন প্রসঙ্গে এদিন ওই তিন রাজ্যকে জবাব দিতে ফের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন, Hapur lynching: গো-হত্য়ার কোনও যোগ নেই, বলছে পুলিশ
গোরক্ষার নামে হিংসা ঠেকাতে গত বছর প্রধানমন্ত্রীর কড়া ভাষায় সাবধানবাণী যে কোনও কাজে আসেনি তা তো দেশে একের পর এক গোরক্ষককারীদের তাণ্ডবলীলা দেখলেই বোঝা যাবে। ক’দিন আগে উত্তরপ্রদেশের হাপুরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তথাকথিত গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে। যদিও এর সঙ্গে গো-হত্যার কোনও যোগসূত্র নেই বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।