মাওবাদীদের শীর্ষ নেতৃত্বে যুগাবসান, আর নেই গণপতি, বলছে পুলিশ

সিপিআই (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটি লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতিকে শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলে। কেন্দ্রীয় কমিটি চাইছিল অপেক্ষাকৃত কম বয়সী কেউ এবার নেতৃত্বে আসুক।

সিপিআই (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটি লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতিকে শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলে। কেন্দ্রীয় কমিটি চাইছিল অপেক্ষাকৃত কম বয়সী কেউ এবার নেতৃত্বে আসুক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মুপাত্তা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতি

সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের শীর্ষ পদে আর নেই গণপতি। পুলিশ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, দু মাস আগেই মাওবাদী সংগঠনের নেতৃত্বে বদল ঘটে গেছে। ৭২ বছরের মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাওয়ের জায়গায় এসেছেন নাম্বালা কেশব রাও। ৬৩ বছরের কেশব রাও, বাসওয়ারাজ নামেও পরিচিত।

Advertisment

কী ভাবে এ খবর জেনেছে পুলিশ? গত মাসে আরুকু উপত্যকায় এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন বিধায়কের হত্যার ঘটনায় যে কৌশল অবলম্বন করেছে সন্দেহভাজন মাওবাদীর, তার ভিত্তিতেই এ হেন সিদ্ধান্ত অন্ধ্র পুলিশের।

এক সূত্র জানিয়েছে, সিপিআই (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটি লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতিকে শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলে। কেন্দ্রীয় কমিটি চাইছিল অপেক্ষাকৃত কম বয়সী কেউ এবার নেতৃত্বে আসুক। নয়া নেতা কেশব রাও অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার মানুষ। তিনি ওয়ারাঙ্গল এঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্নাতক।

সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠন যখন তৈরি হয়, তখন থেকেই শীর্ষ পদে ছিলেন গণপতি। ২০০৪ সালে, পিপলস ওয়ার গ্রুপ (পিডব্লুজি), মাওয়িস্ট কমিউনিস্ট সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (এমসিসিআই) এবং সিপিআই এমএল মিলিত হয়ে তৈরি হয় সিপিআই (মাওবাদী)।

Advertisment

অন্ধ্র পুলিশের বক্তব্য সমর্থন করছে তেলেঙ্গানা পুলিশও। তেলেঙ্গানা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, ‘‘টিডিপি-র এক বিধায়ক ও এক প্রাক্তন বিধায়ককে আরাকুতে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা একেবারেই বাসওয়ারাজের কৌশল। দু মাস আগে সিপিআই মাওবাদী এক বৈঠকে স্থির করে যে গণপতির এবার কম বয়সী কারোর জন্য জায়গা ছাড়া উচিত।’’

তেলুগু দেশম পার্টির বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বর রাও এবং প্রাক্তন বিধায়ক সিবেরি সোমাকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিশাখাপতনম জেলায় খুন হন। পুলিশের অভিযোগ, ১০ জন সশস্ত্র মাওবাদী সহ ৫০ জন মাওবাদীর একটি দল তাঁদের হত্যা করে।

গণপতি বর্তমান তেলেঙ্গানার জাগিতালের বীরপুর গ্রামের আদি বাসিন্দা। তাঁর বাবা ছিলেন কৃষক এবং জমি মালিক। গণপতি করিমনগর কলেজ থেকে বিএস সি ও বিএড পাশ করেছিলেন। কোন্দাপল্লী সীতারামাইয়া প্রতিষ্ঠিত পিডব্লিউজি-র সঙ্গে অন্য সংগঠনগুলির মিলনের ব্যাপারে লক্ষ্মণ রাও ছিলেন প্রধান কাণ্ডারী।

Maoist naxal