সাধারণ ক্রেতারা বারবার অভিযোগ করছিলেন। এবার সরকারও স্বীকার করে নিল খুচরো বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এমনি বাড়া নয়। শুধু মার্চেই কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক অথবা জিনিসপত্রের দাম, যেভাবেই বলা হোক না-কেন, বেড়েছে ৬.৯৫ শতাংশ। তার মধ্যেই আশার কথা, করোনার প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে ভারত বের হয়ে আসছে। ফেব্রুয়ারিতে দেশের শিল্পপণ্য উত্পাদন বেড়েছে ১.৭ শতাংশ। তবে, তার প্রত্যক্ষ সুবিধা দেশবাসী বড় একটা পাননি। তার কারণ, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি। ফেব্রুয়ারিতেও কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ৬.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
সবকিছুরই যেমন একটা সীমা আছে। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও রিজার্ভ ব্যাংকের একটা সীমা আছে। সেটা ৬ শতাংশ। কিন্তু, মার্চকে ধরলে দেখা গেছে যে গত তিন মাসে বারবার এই মূল্যবৃদ্ধি ৬ শতাংশের সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক তো তা-ও ৬ শতাংশ করে রেখেছে। কেন্দ্রীয় সরকার আবার এই মূল্যবৃদ্ধির সূচক যেন ৪ শতাংশ না-পেরোয়, তা দেখার নির্দেশ দিয়ে রেখেছে। কিন্তু, কোথায় কী! দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি রোখা যাচ্ছে না। সরকারের আশা ২০২৬-এর মধ্যে এটা রোখা যাবে। কিন্তু, ততদিন? রীতিমতো ভুগতে হবে দেশবাসীকে?
রিজার্ভ ব্যাংক পরিস্থিতি সামলাতে দু'মাসের জন্য আর্থিক নীতি নির্ধারণ করে থাকে। গত সপ্তাহে যেমন ঠিক হয়েছে। সেখানে রিজার্ভ ব্যাংকের আর্থিক নীতি কমিটি বা এমপিসি ঠিক করেছে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হবে। এই নিয়ে টানা ১১ বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাংক। থেমে আছে ৪ শতাংশে। এই রেপো রেট কী? রিজার্ভ ব্যাংক যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়, সেই হারকে বলে রেপো রেট। তা অপরিবর্তিত রাখার একটাই অর্থ। বাজারে অর্থের জোগান বৃদ্ধি। যাতে ব্যবসা ভালো হয়, সেই লক্ষ্যে রিজার্ভ ব্যাংকের এই পদক্ষেপ। কিন্তু, বাজারে অর্থ বেশি থাকার একটা সমস্যাও আছে। তা হল, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি। তাহলে কি খুচরো বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে? সেই আশঙ্কাতেই এখন ভুগছে ক্রেতারা।
Read story in English