Sitaram Yechury Passes Away: প্রয়াত হলেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন সিপিএমের অন্য়তম সর্বভারতীয় নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই মৃত্যুর পর অসুস্থ অবস্থাতেই শোক প্রকাশ করেছিলেন ইয়েচুরি।
১৯৫২ সালের ১২ অগাস্ট চেন্নাইয়ের (পূর্বতন মাদ্রাজ) এক তেলুগুভাষী পরিবারে সীতারামের জন্ম হয়েছিল। বাবা সর্বেশ্বরা ইয়েচুরি ছিলেন অন্ধ্রের পরিবহণ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার। মা-ও ছিলেন পদস্থ সরকারি কর্মচারী।
গোড়ার দিকে লেখাপড়া
হায়দরাবাদের অল সেন্ট হাইস্কুলে গোড়ার দিকে লেখাপড়া করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। ১৯৬৯ সালে তেলেঙ্গানা আন্দোলনে উত্তাল অন্ধ্র থেকে সীতারামকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা-বাবা। দিল্লিতে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট এস্টেট স্কুলে। সেখান থেকে সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় গোটা দেশে ফার্স্ট হন।
এরপর তিনি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে অর্থনীতি পড়তে ভর্তি হন। স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা জেএনইউ নামে পরিচিত। সেখানে পড়ার সময়ই যোগ দেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ে। হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি।
জেএনইউয়ে আন্দোলন
১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময়ে তাঁকে জেলে যেতে হয়। কিছুদিন আত্মগোপনও করেছিলেন। সেই সময় জেএনইউ ক্যাম্পাস সীতারামের নেতৃত্বে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল। সীতারাম দাবি করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ক্যাম্পাসে এসে স্মারকলিপি গ্রহণ করতে হবে। ইন্দিরা সেই দাবি মেনে নিয়েছিলেন। জেএনইউয়ের ক্যাম্পাসে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে স্মারকলিপি পাঠ করেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি।
আরও পড়ুন- হল না শেষ রক্ষা, প্রয়াত সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি
সিপিএমের ইতিহাসে প্রবাদপ্রতিম নেতা ইএমএস নাম্বুদিরিপাদ, বাসব পুন্নাইয়া, পি সুন্দরাইয়ারা পরের প্রজন্মের নেতাদের দলের ওপরের স্তরে তুলে আনতে চেয়েছিলেন। সেই পরের প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে তুলে আনা হয়- সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাট, বিমান বসু, অনিল বিশ্বাস, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের। তাঁদের স্থান দেওয়া হয় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি, পরবর্তীতে দলের পলিটব্যুরোয়। এই নেতাদের মধ্যে সীতারাম ইয়েচুরিই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। দলের গঠনতন্ত্রকে 'সময়োপযোগী' করার ব্যাপারে তিনি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।