জোশীমঠে ভুমিধস, সাতশোর বেশি বাড়িতে ফাটল, চূড়ান্ত আতঙ্কে এলেকার বাসিন্দারা, এর মাঝেই নতুন করে দেখা দিয়েছে বিপদ। জোশীমঠ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে কর্ণপ্রয়াগের বেশ কিছু বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক।
কর্ণপ্রয়াগ পৌরসভার একাধিক এলাকায় ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। বহুগুনা নগরের কয়েকটি বাড়িতে পুরু ফাটল দেখা গেছে। এর আগে সোমবার সিতারগঞ্জের বিধায়ক সৌরভ বহুগুনা বলেছিলেন যে জোশীমঠের আশেপাশের গ্রামেও একই অবস্থা। সিতারগঞ্জের বিধায়ক বহুগুনা এক বিবৃতিতে বলেন, 'আমি জোশীমঠের আশেপাশের গ্রামগুলি থেকেও একই রকম পরিস্থিতির খবর পেয়েছি, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান হবে। জোশীমঠ এবং কর্ণপ্রয়াগ ছাড়াও উত্তরাখণ্ডের আরও অনেক এলাকায় ভূমিধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেল প্রকল্পের কারণে, শ্রীনগর-গড়োয়ালেও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যে, কর্তৃপক্ষ জোশীমঠের সেই হোটেল এবং বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে হোটেল মালারি ইন এবং মাউন্ট ভিউতে আরও ফাটল দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে যে সমস্ত বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই), রুরকির বিশেষজ্ঞদের একটি দলের তত্ত্বাবধানে ভবনগুলি ভাঙার কাজ শুরু হবে। এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স-এনডিআরএফ) এর একটি দল প্রয়োজনে ভবনগুলি ভেঙে ফেলার কাজে জেলা প্রশাসনকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: < ছেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, গরীবের কার্ডে এখনও রেশন তোলেন মা! ঝড় বইছে বঙ্গ রাজনীতিতে >
এনডিআরএফ জানিয়েছে যে বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং প্রশাসনের নির্দেশ ও পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে তারা প্রস্তুত। সোমবার জেলা শাসক হিমাংশু খুরানা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় দল ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে চামোলি জেলায় আসছে্ন। এই দলটি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবে এবং ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য খতিয়ে দেখবে।
সোমবার জলশক্তি মন্ত্রকের একটি দলও জোশীমঠে পৌঁছেছে। যেসকল এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে সেই সকল এলাকা গুলোকে 'বিপজ্জনক এলাকা' হিসাবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন, পাশাপাশি সেই সকল এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিকে, জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ, চামোলি জোশীমঠে ভূমিধসের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি বুলেটিন জারি করেছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, জোশীমঠ শহরের মোট ৬৭৮টি ভবনে ফাটল দেখা গেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মোট ৮১টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।