মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের প্রায় ৩১ হাজার অভিযোগ ২০২১ সালে জাতীয় মহিলা কমিশন দ্বারা গৃহীত হয়েছে। যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। সে বছর অভিযোগের সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৯০৬টি। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অভিযোগ এসেছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ থেকে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০-র তুলনায় গতবছর মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। কমিশনের কাছে ২০২০ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ ছিল ২৩ হাজার ৭২২টি।
কমিশনের কাছে জমা মোট ৩০ হাজার ৮৬৪টি অভিযোগের মধ্যে, সর্বাধিক ১১ হাজার ১৩টি অভিযোগই মহিলাদের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার সম্পর্কিত, যা মহিলাদের মানসিক নির্যাতনকে বিবেচনা করে। ৬ হাজার ৬৩৩টি গার্হস্থ্য হিংসা এবং ৪ হাজার ৫৮৯টি অভিযোগ যৌতুক হয়রানি সম্পর্কিত।
২০২২ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। এই রাজ্য থেকে অভিযোগ জমা পড়েছে ১৫ হাজার ৮২৮টি। এরপরই রয়েছে দিল্লি (৩,৩৩৬), মহারাষ্ট্র (১,৫০৪), হরিয়ানা (১,৪৬০) ও বিহার (১,৪৫৬)।
উত্তরপ্রদেশ থেকে জমা পড়া অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মহিলাদের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার সম্পর্কিত ও গার্হস্থ্য হিংসার।
কেন অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে? জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মার দাবি, কমিশন সক্রিয় ও মেয়েদের সচেতন করতে পেরেছে। ফলে নির্ভয়ে মহিলারা অভিযোগ করছেন। রেখা শর্মার কথায়, 'আমরা একটি সার্বক্ষণের হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছি সেই সঙ্গেই প্রয়োজনে মহিলাদের সহায়তা পরিষেবা প্রদান করছি, যাতে নির্যাতিতারা অভিযোগও নথিভুক্ত করতে পারে। এইভাবেই কমিশন সর্বদা মহিলাদের সাহায্য করার জন্য নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে।'
২০১৮ সালের নভেম্বরে #MeToo আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছিল। তারপর থেকে কমিশনের দফতরে মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ৩ হাজার অভিযোগ প্রতি মাসে গড়ে জমা পড়ত। ২০২১ সালে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে অভিযোগ জমার সংখ্যা ছিল গড়ে ৩ হাজার ১০০টি করে।
কমিশনের তথ্যানুশারে, ওই তিন মাসে জমা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মহিলাদের শ্লীলতাহানি (১,৮১৯), ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টা (১,৬৭৫), মহিলাদের অভিযোগ নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা (১,৫৩৭) ও সাইবার ক্রাইম সম্পর্কিত (৮৫৮)।
Read in English