আকাশপথে জম্মু-কাশ্মীর যাওয়ার ছাড়পত্র পেলেন সব জওয়ানরা। কর্মস্থল জম্মু-কাশ্মীর হলে, এবার থেকে আকাশপথেই সফর করার সুযোগ পাবেন সব পদমর্যাদার জওয়ানরাই। দিল্লি-শ্রীনগর, শ্রীনগর-দিল্লি, জম্মু-শ্রীনগর ও শ্রীনগর-জম্মু সেক্টরের ক্ষেত্রে আকাশপথে সফরের জন্য এই ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর ফলে কনস্টেবল, হেড কনস্টেবল, এএসআই-সহ প্রায় ৭ লক্ষ ৮০ হাজার সিএপিএফ জওয়ান উপকৃত হবেন। উল্লেখ্য, এতদিন এই সুবিধা পেতেন না তাঁরা।
পুলওয়ামা হামলার পর জওয়ানদের জন্য এই বিশেষ ছাড়পত্র তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পুলওয়ামায় কেন এতজন সিআরপিএফ জওয়ানদের একসঙ্গে সেদিন সড়কপথে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। পাশাপাশি, হামলার আশঙ্কায় সেদিন এয়ারলিফ্টিং করাতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্জি রেখেছিল সিআরপিএফ। যদিও সেই অনুরোধে কেন্দ্র কোনও কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে জোর বিতর্ক দেশজুড়ে।
আরও পড়ুন, জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয় বনাম অসামরিক যান
আকাশপথে যাতায়াতের ছাড়পত্র মেলায় সময় অনেক বাঁচবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ছুটির সময় যেমন সহজেই বাড়ি যেতে পারবেন জওয়ানরা। তেমনই যাতায়াতের সময়ও অনেকটাই কমবে। অনেকসময়ই দেখা যায়, সময়ের অভাবে ছুটি পেলেও বাড়ি যাওয়ার ফুরসত পান না জওয়ানরা। বিমান পরিবহণের সুবিধা মেলায় সেই সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে তুষারপাত কিংবা বৃষ্টির জেরে মাঝেমধ্যেই রাস্তায় ধ্বস নামে। যার ফলে সড়কপথে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এহেন পরিস্থিতির মোকাবিলা অনেক সহজতর হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এই পরিষেবা আরও চারটি সেক্টরে চালু করা হয়। দিল্লি-জম্মু, শ্রীনগর-জম্মু, শ্রীনগর-জম্মু ও জম্মু-দিল্লি সেক্টরে এই পরিষেবা চালু করা হয়। একইসঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরে বিমানের সংখ্যাও বাড়ানো হয়।