জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানায় প্রাণ হারালেন সিআরপিএফের এক আধিকারিক। আহত হওয়ার পর ওই আধিকারিককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, 'রবিবার দুপুর ২টো ২০ নাগাদ এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার সময় সিআরপিএফ এবং কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী গাংগু এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিল।
সেই সময় জঙ্গিরা আচমকা গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে এক সিআরপিএফ আধিকারিক বিদ্ধ হন। পরে, হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।' জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত সিআরপিএফ আধিকারিকের নাম বিনোদ কুমার। তিনি বাহিনীতে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীর উপত্যকায় সম্প্রতি জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনীও। কখনও কাশ্মীরের পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে থাকছে কোনও আধাসামরিক বাহিনী। কখনও বা তল্লাশি অভিযানে অংশ নিচ্ছে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস বাহিনীর জওয়ানরা।
রবিবারও সেভাবেই খবর মিলেছিল, জঙ্গিরা দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ঘাঁটি গেড়েছে। এরপরই তল্লাশি অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে গাংগু এলাকায় শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। সেই সময়ই জওয়ানদের দেখতে পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। গুলিতে আহত হন সিআরপিএফের ওই আধিকারিক।
আরও পড়ুন- মন্দিরের বাইরে পড়ে পশুর দেহাবশেষ, উত্তেজনা হতেই অপসারিত এসপি-জেলাশাসক
গুলিবিদ্ধ আধিকারিককে ওই অঞ্চল থেকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আধিকারিকরা মনে করছেন, পালানোর পথ করতেই সিআরপিএফ আধিকারিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। ঠিক কতজন জঙ্গি ওই এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে, তা এখনও জানতে পারেনি বাহিনী। তবে, জঙ্গিদের কাছে যে উন্নত আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, সেই ব্যাপারে জওয়ানরা নিশ্চিত।
তল্লাশি অভিযান জোরদার করতে ওই এলাকায় আরও বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি, কাশ্মীরে বারবার নিরাপত্তা বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। বিশেষ পরিকল্পনামাফিক তারা এইভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে বলেই বাহিনী মনে করছে।
Read full story in English