/indian-express-bangla/media/media_files/Dqm1BLKWY8luPSkyggO8.jpg)
Manipur violence-Curfew imposed: ইম্ফলে ছাত্রদের প্রতিবাদ। (পিটিআই ছবি)
Curfew imposed and Internet snapped: মণিপুরে ফের নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া অপব্যবহারের আশঙ্কায় নতুন করে ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপত্যকায় পাঁচ দিনের জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেটের পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড পরিষেবা এবং ভিপিএনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে উপত্যকায়।
মণিপুর সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক নির্দেশে বলা হয়েছে, 'মণিপুর রাজ্যে বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কিছু অসামাজিক উপাদান বা ছবি, ঘৃণা ছড়ানোর জন্য বক্তব্য এবং ঘৃণা ছড়ানোর জন্য ভিডিও প্রচারের চেষ্টা হতে পারে। সেই জন্য দুষ্কৃতীরা ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের চেষ্টা করতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে জনসাধারণের আবেগকে নিয়ন্ত্রিত রাখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। যাতে মণিপুর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর কোনও প্রভাব না পড়ে।'
মণিপুরে স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্দেশে বলা হয়েছে, 'উসকানিমূলক উপাদান এবং মিথ্যা গুজবের ফলে জীবনহানি অথবা সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি, জনসাধারণের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। যাতে জনসাধারণের ক্ষতি হতে পারে। সেই জন্য মোবাইল পরিষেবা, এসএমএস পরিষেবা এবং ডঙ্গল পরিষেবার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং-সহ অন্যান্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ছুটি! ১৩-১৮ সেপ্টেম্বর, টানা ছয় দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক?
এক আদেশে মণিপুর সরকারের যুগ্ম সচিব (স্বরাষ্ট্র) বলেছেন, 'আমি মণিপুর রাজ্যের আঞ্চলিক ভিএসএটি, ব্রডব্যান্ড এবং ভিপিএন পরিষেবা-সহ ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডেটা পরিষেবাগুলো পাঁচ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত বা রোধ করার নির্দেশ দিচ্ছি।' মঙ্গলবার ইম্ফল জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম উভয়, জেলা প্রশাসনই মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে 'আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি' পর্যালোচনা করে কারফিউয়ের আদেশজারি করেছে।
জারি নিষেধাজ্ঞা
ইম্ফল পশ্চিম প্রশাসন আবার প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং মিডিয়াকে ব্যাতিরেখে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত 'কোনও ব্যক্তির (গণ) বাসভবনের বাইরে চলাচল' সীমাবদ্ধ করেছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে মণিপুরে জাতিগত হিংসার বিভিন্ন ঘটনায় ১১ জন নিহত হওয়ার কারণে, শিক্ষার্থীরা উপত্যকা অঞ্চলে বিশেষ করে থৌবাল এবং ইম্ফলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। থাউবালে বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর পুলিশ কর্মী-সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছেন। পালটা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস এবং ধোঁয়ার গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। ইম্ফলে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা রাজ্যপাল লক্ষণপ্রসাদ আচার্য ও মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সরকারি বাসভবনে হামলা চালানোরও চেষ্টা করেছিল।