নতুন সিভিসি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক। ধোপে টিকলো না লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা তথা এই সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরীর বাধা। পরবর্তী সিভিসি হচ্ছেন সঞ্জয় কোঠারি। সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনার পদে বসবেন বিমল জুলকা। সিভিসি নির্বাচনে প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কথা বলে বিরোধিতা করেছিলেন অধীর।
কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্টতার সমর্থনে ভিজিলান্স কমিশনার ও ইনফরমেশন কমিশনার হচ্ছেন যথাক্রমে সুরেশ প্যাটেল ও অনিতা পোনডোভে। কোঠারি এর আগে দফতরের সচিব ছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁকেই কমিশনার পদে নিয়োগ করতে চলেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার ছিল সিভিসি নিয়োগ সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির বৈঠক। এই কমিটির প্রদান প্রধানমন্ত্রী মোদী। গতকালের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কমিটিক সদস্য অন্যন্য মন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকায় নাম-জমির কাগজ সহ ১৫ নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়
বৈঠকে কোঠারির সিভিসি পদে নিয়োগ ঘিরে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, 'প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সঠিক নয়।' তাঁর আপত্তি ছিল যে, সার্চ কমিটির সদস্য অর্থ সচিব রাজীব কুমার “সিভিসির আবেদনকারীও হয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত অনুসন্ধান কমিটি সিভিসি পদের জন্য মনোনিতও হয়েছিলেন।' অধীর বলেন, 'যেখানে সদস্য নিজেই একজন আবেদনকারী এবং তাকে সিভিসি পদের জন্য তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে, সেখানে সার্চ কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়েছে।' পুরো প্রক্রিয়াকে 'প্রচোলিত রীতিনীতির থেকে বিচ্যুতি বলে' বর্ণনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
কি করে প্রয়োজনীয় তথ্য ছাড়াই পরবর্তী সিভিসি-র জন্য একজনকে তালিকার অন্তভুক্তি করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অধীর বলেন, 'বিচ্যূতি নিয়ে বলতে গিয়েছিলাম কিন্তু কোনও কথাই শোনা হয়নি। তবে, প্রধানমন্ত্র আমার কথায় সম্মতি প্রকাশ করেছেন। নাম ঠিক আগে থেকেই করা হয়ে গিয়েছিল, ওরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় আমার আর কিছু করার ছিল না।'
২০১৯ সালের জুন মাস থেকে শূন্য পড়ে রয়েছে সিভিসি পদটি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন