এদিন বিকেলে সাইবারাবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি এস সাজ্জানার বলেন, 'অভিযুক্তরা জেরায় কবুল করেছিল তারাই গত ২৭ নভেম্বর পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্য়া করেছিল। এরপর তদন্তের স্বার্থে তাদের অকুস্থলে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন ছিল। এই সময়ই অভিযুক্তরা অস্ত্র ছিনতাই করে ও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।' কমিশনারের দাবি, 'এরপরই পুলিশ প্রতি আক্রমণ করে। সংঘর্ষে দু'জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছে।' তাদের মাথায় নন বুলেট ইনজুরি রয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
Advertisment
কমিশনার সাজ্জানা ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, 'অকুস্থলে গিয়ে অভিযুক্তরা প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই দু'জন অভিযুক্ত পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। বাকি দু'জনও লাঠি নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে। পাথর ছোড়ে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। গুলি চালায় পুলিশকে লক্ষ্য করে। পুলিশ তাদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিলেও তারা আক্রমণ থামায়নি। তখনই পুলিশ পাল্টা আক্রমণ করে। সংঘর্ষে চার অভিযুক্তেরই মৃত্যু হয়।
কেন হাতকড়া পড়ানো হয়নি অভিযুক্তদের? উত্তরে কমিশনার বলেন, 'ধর্ষিতার বিভিন্ন সামগ্রী তারা লুকিয়ে রেখেছিল বলে দাবি করে। সেগুলিই খুঁজে বার কারার জন্য অভিযুক্তদের নির্দেশ দেওয়া হয়।' পুলিশের দাবি, চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অপরাধের মামলা রয়েছে।
এদিন ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার চার অভিযুক্ত। শুক্রবার ভোররাতে অভিযুক্তদের নিয়ে গত ২৭ নভেম্বরের ঘটনারই পুনর্নির্মাণ করছিল পুলিশ। সেই সময়ই ওই চার অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষের মৃত্যু হয় হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের। কেন হঠাৎ ভোররাতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, সকালে পুনর্নির্মাণ করলে জনতার অসন্তো জনিত অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারত। যা এড়াতেই ভোররাতে পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত।