বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের একেবারে কাছাকাছি আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে সমুদ্রের ঝড় সমুদ্রেই বিলীন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ‘তীব্র ঘূর্ণিঝড়’আজ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ‘ঘূর্ণিঝড়ের’ পরিণত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে তা গভীর নিন্মচাপে পরিণত হতে পারে।
এর প্রভাবে, অন্ধ্রের বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে এবং উপকূলবর্তী এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ আপডেট অনুসারে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ এই মুহূর্তে অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরে এবং পুরী থেকে মাত্র ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে’।
বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রীতিমতো পড়তে শুরু করেছে শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সোমবারের পর পর মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায়-দফায় বৃষ্টি মহানগরী ও লাগোয়া দুই ২৪ পরগনায়। আজও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে হাওয়া অফিস।
বৃষ্টির জেরে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে জল জমেছে। সময় যত এগোবে বৃষ্টির প্রভাবও ততই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ১২-১৫ মে পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির প্রকোপ থাকার আশঙ্কা। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় পুরোদমে তৈরি রাজ্য প্রশাসনও। ‘অশনি’ আশঙ্কায় লালবাজারে তৈরি হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। কলকাতা পুলিশের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন।
আরও পড়ুন: কুতুব মিনারের নাম বদলে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ রাখার দাবিতে উত্তাল রাজধানী, আটক ৪৪
ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে অশনি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঝড় আরও শক্তি হারাবে বলে মনে করছে মৌসম ভবন। আছড়ে না পড়লেও উপকূল ঘেঁষে এই ঝড়ের বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ইতিমধ্যেই ওড়িশা-বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
শহর কলকাতায় সকাল থেকেই দফায়-দফায় বৃষ্টি চলছে। এমনিতেই অল্প বৃষ্টিতে মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্তে জল জমে দারুণ সমস্যা তৈরি হয়। তবে এবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি আরও বাড়লে পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে
অশনির জেরে শহর কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের উপকূলর জেলা-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরেও প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনডিআরএফ-এর ১২টি দল দক্ষিণবঙ্গে মোতায়েন থাকছে। দুই মেদিনীপুরে ৩টি টিম রয়েছে। এছাড়াও দুই পরগনায় এনডিআরএফ-এর আরও ৪টি দল তৈরি রাখা হয়েছে।
Read story in English