সাইক্লোন বিপর্যয়ের আতঙ্কে ত্রস্ত গুজরাটের উপকূল অঞ্চল। প্রস্তুতি তুঙ্গে প্রশাসনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাইক্লোন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপুর্ণ বৈঠক করছেন। আগামী ১৫ জুন, বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গুজরাটের মান্ডবি এবং পাকিস্তানের করাচির মধ্য দিয়ে দিয়ে সর্বোচ্চ ১২০-১৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাব দেখা গিয়েছে সৌরাষ্ট্র উপকূলে। ঝড়ের জেরে রাজ্যের বহু জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। প্রভাব রাজকোট জেলাতেও দেখা যাচ্ছে। বিপর্যয়ের ইঙ্গিতে যখন সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি গুজরাটের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে সেখানকার মানুষদের সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। বিপর্যয়ের জেরে যে কোনও ধরনের সাহায্য কেন্দ্রের তরফে করা হবে বলে স্পষ্ট জানানো হয়।
সৌরাষ্ট্র, কচ্ছে প্রশাসনের তরফে সাতটি NDRF টিম মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় লোকজনকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সমুদ্রের কাছাকাছি বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মুম্বই বিমানবন্দরে বেশ কয়েকটি বিমান বাতিল করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাটের জুনাগড়ের স্কুলগুলি ১৬ জুন পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কচ্ছের উপকূলীয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতের অনেক রাজ্যে ভারী বৃষ্টি, বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উপকূল অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়ছে। মুম্বইয়ে সকাল থেকে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই ঘুর্ণিঝড় বিপর্যয় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ১৫ জুনের মধ্যে গুজরাটের জাখাউ বন্দর অতিক্রম করতে পারে বলেই জানিয়েছেন আইএমডি।
পোরবন্দর থেকে মাত্র ৩১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘুর্ণিঝড় বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় সৌরাষ্ট্র-কচ্ছে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুজরাটের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। ঝড়ের প্রভাবে সৌরাষ্ট্র উপকূলে প্রবল বেগে বাতাস বইতে শুরু করেছে। আগামী ১৪ ও ১৫ জুন রাজকোট জেলার স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।