স্থলভাগে প্রবেশ করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পুনরায় আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে গুলাব। যদি সাগরে ঝড়ের গতিবেগ ৬৮ কিমি প্রতি ঘন্টা হয় তাহলে নতুন নামকরণ পাবে এই নিম্নচাপ। যদি এই সম্ভাবনা সত্যি হয় তাহলে গত আড়াই দশকে এটা তৃতীয় নিদর্শন হবে। যেখানে একটি ঘূর্ণিঝড় অপর একটি ঝড়ের কারণ।
২০১৮ সালে অতি প্রবল ঘূর্ণি ঝড় গাজা তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়েছিল। ফের আরব সাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে মধ্য কেরলে আছড়ে পড়েছিল গাজা। সেবার প্রায় ১০ দিন স্থলভাগে প্রবেশের আগে সাগরে অবস্থান করছিল গাজা।
আগামী মঙ্গল ও বুধবার বাংলার দক্ষিণপ্রান্তের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে। যেটি ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর বয়ে যাবে। যার জেরেই কলকাতা সহ দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, ঝাড়গ্রামে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরদিন অর্থাৎ, ২৮ সেপ্টেম্বর বৃষ্টি হবে রাজ্যের পশ্চিমের জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টার কিছু পড়ে ল্যান্ডফল শুরু হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় গুলাবের। দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের মধ্যে দিয়ে ঘণ্টায় ৭৫-৮৫ কিমি বেগে স্থলভাগে প্রবেশ করে এই ঘূর্ণিঝড়। গোপালপুর থেকে কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যে দিয়ে প্রায় দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে (সন্ধ্যা ৬টা ল্যান্ডফল ধরে) পশ্চিম উপকূলে প্রবেশ করে এই ঘূর্ণিঝড়। ল্যান্ডফলের শেষদিকে সাইক্লোনের সর্বাধিক গতিবেগ ছিল ৯৫-১০০ কিমি। এমনটাই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন